লাইনে জল, ট্রেন স্তব্ধ রৌরকেলায়

বাংলার পুজোয় তার চোরাগোপ্তা হানাদারি চলছিল ওড়িশা থেকেই। তবেসরাসরি পশ্চিমবঙ্গে ঢোকেনি বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণাবর্ত। তবেওড়িশা থেকে ঝাড়খণ্ড যাওয়ার পথে সেই ঘূর্ণাসুর ভাসিয়ে দিয়ে গেল রৌরকেলা এবং তার সংলগ্ন এলাকাকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৬ ০১:২৩
Share:

জলমগ্ন রৌরকেলার রেল ইয়ার্ড। — নিজস্ব চিত্র।

বাংলার পুজোয় তার চোরাগোপ্তা হানাদারি চলছিল ওড়িশা থেকেই। তবেসরাসরি পশ্চিমবঙ্গে ঢোকেনি বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণাবর্ত। তবেওড়িশা থেকে ঝাড়খণ্ড যাওয়ার পথে সেই ঘূর্ণাসুর ভাসিয়ে দিয়ে গেল রৌরকেলা এবং তার সংলগ্ন এলাকাকে। তার দাপটে মাত্র দেড় ঘণ্টার বর্ষণে রেললাইনে জল জমে যাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে গেলট্রেন চলাচল।

Advertisement

শুক্রবার ওই ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছিল ওড়িশা উপকূলে। ফলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা ছিলই। সেই বিক্ষিপ্ত বর্ষণ বাগড়া দিচ্ছিল বাংলার উৎসবে। তার প্রভাবে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হয়ে শনিবার বেশি রাতে ভেঙে পড়ে রৌরকেলার একটি ছোট এলাকার উপরে। তার জেরেই অতি ভারী বর্ষণ চলে দেড় ঘণ্টা ধরে। বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল।

রেল সূত্রের খবর, প্রবল বৃষ্টিতে অল্প সময়ের মধ্যেই স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় লাইনের উপর দিয়ে জল বইতে থাকে। দেড় ঘণ্টায় রৌরকেলায় বৃষ্টি হয়েছে ৪৮ মিলিমিটার। ইয়ার্ড থেকে শুরু করে ট্রেনচালক ও গার্ডের রানিং রুম (থাকার জায়গা)-এও জল ঢুকে পড়ে। পরপর দাঁড়িয়ে যায় মালগাড়ি। রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত টাটানগর-নাগপুর মেন লাইনে ট্রেন চলাচলবন্ধ ছিল।

Advertisement

রেলকর্তারা জানান, লাইনের উপর দিয়ে জল বইতে থাকায় সব পয়েন্ট এবং সিগন্যাল অকেজো হয়ে যায়। তাই ভোর ৫টা থেকে কাগজে লিখে হাতে হাতে সিগন্যাল দিয়ে ট্রেন ছাড়ার ব্যবস্থা করা হয়। এর জেরে মুম্বই মেল, গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেস ও আমদাবাদ এক্সপ্রেস দেরি করে হাওড়ায় পৌঁছয়। দেরিতে পৌঁছনোয় সময় বদল করতে হয়েছে, হাওড়া-আমদাবাদ এক্সপ্রেস এবং টাটানগর-জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেসের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন