ভোজেও আছে, বাগযুদ্ধেও বিজেপি-তৃণমূল

পুরেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির বাড়িতে কব্জি ডুবিয়ে মাংস-ভাত খেয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। আর তার কিছু ক্ষণ পরেই রাজ্যসভায় গিয়ে কালো টাকা নিয়ন্ত্রণ বিল নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত বাণিজ্যমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে তুমুল বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লেন ডেরেক!

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০১৫ ০৩:৪১
Share:

পুরেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির বাড়িতে কব্জি ডুবিয়ে মাংস-ভাত খেয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। আর তার কিছু ক্ষণ পরেই রাজ্যসভায় গিয়ে কালো টাকা নিয়ন্ত্রণ বিল নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত বাণিজ্যমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে তুমুল বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লেন ডেরেক!

Advertisement

এই ঘটনাই স্পষ্ট করে দিচ্ছে বিজেপি-তৃণমূল সম্পর্কের সর্বশেষ অবস্থান, মন্তব্য রাজনৈতিক শিবিরের। তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদদের ব্যাখ্যা, ‘‘কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্য সরকার সহযোগিতার পথে চলছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় এই সম্পর্ক থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু রাজনৈতিক দল হিসাবে বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে দ্বৈরথ অনিবার্য।’’

প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক পশ্চিমবঙ্গ সফরের পর থেকেই কংগ্রেস ও বাম শিবিরে বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে একটি প্রশ্ন— মোদী-মমতার যে সখ্যের ছবি ফুটে উঠছে, ভবিষ্যতে তার কোনও রাজনৈতিক পরিণতি রয়েছে কি? এই প্রশ্ন আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে যখন একমাত্র জমি বিল ছাড়া পণ্য পরিষেবা কর, স্থলসীমান্ত চুক্তি, কয়লা ও খনি বিলের মতো বিষয়গুলিতে বিজেপি সরকারকে সর্বাঙ্গীন সহায়তা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। কিন্তু সেই সহযোগিতার পাশাপাশি নিজেদের বিজেপি-বিরোধী হিসেবে তুলে ধরতেও যথেষ্ট সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছেন তৃণমূলি সাংসদেরা।

Advertisement

যেমন আজ। সংসদের শেষ দিন অরুণ জেটলি মধ্যাহ্নভোজনের জন্য বাড়িতে নিমন্ত্রণ করেছিলেন রাজ্যসভার বিভিন্ন দলনেতাকে। কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ বা সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি না এলেও ভোজে উপস্থিত ছিলেন ডেরেক। খাওয়াদাওয়া, সৌজন্য বিনিময় আর হাল্কা গল্পগুজবের পরে রাজ্যসভায় কালো টাকা সংক্রান্ত বিল বিতর্কে যোগ দিতে যান ডেরেক। সেখানে তিনি মোদী, রাজনাথ সিংহ বেঙ্কাইয়া নায়ডুর নাম করে সরাসরি আক্রমণ করেন বিজেপিকে। বলেন, মোদী এবং রাজনাথেরা নির্বাচনের আগে কালো টাকা ফিরিয়ে আনার প্রশ্নে যে কথা দিয়েছিলেন, বাস্তবে তা রাখতে পারেননি।’’ এর পর তিনি বিজেপির দেওয়া প্রতিশ্রুতিকে ‘বহুত জুমলা প্রমিসেস’ হিসাবে আখ্যা দিলে, দাঁড়িয়ে উঠে প্রতিবাদ জানান নির্মলা। মন্ত্রীর কথায়, সরকারি বিল নিয়ে আলোচনার সময় কোনও রাজনৈতিক দলকে এ ভাবে হেয় করাটা অসংসদীয়। ডেরেক কিন্তু দাবি করেছেন, কিছু দিন আগে মোদী নিজেই বলেছিলেন, ভোটের আগে কালো টাকা দেশে ফেরানো নিয়ে বিজেপি যা বলেছিল, তা ‘ইলেকশন কা জুমলা থা’ (ভোটের ধাপ্পা ছিল)। পরে অবশ্য ডেরেকের বক্তব্য থেকে এই অংশটি বাদ দেওয়া হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন