অধীর চৌধুরীর ব্যবহার এবং মন্তব্য নিয়ে সোমবার উত্তাল হয়ে উঠল লোকসভা। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে, শেষ পর্যন্ত তাঁকে এক দিনের জন্য সাসপেন্ড করেন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। এমনকী অদীরের নাম ধরে স্পিকারকে মন্তব্য করতে শোনা যায়।
এ দিন প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রায় স্পিকারের বসার জায়গায় উঠে পড়েন ক্ষুব্ধ অধীর। তার জেরে এক ঘণ্টার জন্য সভা মুলতুবি করে দেন স্পিকার। এর পর সভা ফের শুরু হতেই অধীর-প্রসঙ্গে জোরদার হট্টগোল শুরু হয়। আর ঠিক তখনই অযাচিত ভাবে অধীরের পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। বললেন, ‘‘হট্টগোলের জন্য একা অধীরকে দায়ী করা ঠিক হবে না।’’ তবে সৌগতের এই ‘পাশে দাঁড়ানো’ দলের নির্দেশে নাকি তাঁর নিজস্ব মতামত সেটা এ দিন বিকেল পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। যদিও সৌগত পরে বলেন, ‘‘এটা লোকসভার ভিতরের বিষয়। একে রাজনৈতিক ভাবে দেখা ঠিক নয়।’’
ললিত-কাণ্ডে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের পদত্যাগের দাবিতে এ দিন দুপুরে লোকসভায় সরব হন কংগ্রেস সাংসদরা। সভায় সেই সময় সনিয়া-রাহুলও হাজির ছিলেন। কিন্তু, কংগ্রেস সাংসদের কথা না শুনে স্পিকার ‘তাঁর ইচ্ছে মতো’ সভা চালাচ্ছিলেন বলে তাঁদের অভিযোগ। এর পরই স্লোগান দিতে দিতে প্ল্যাকার্ড হাতে ওয়েলে নেমে আসেন ক্ষুব্ধ কংগ্রেস সাংসদেরা। অধীরও সেই দলে ছিলেন। সেই সময় অধীর কার্যত স্পিকারের ডায়াসের উপর উঠে পড়েন। স্পিকারকে উদ্দেশ্য করে ক্ষোভ জানাতে থাকেন। চিত্কার করে তাঁকে ‘একনায়ক’ও বলেন অধীর।
এই পরিস্থিতিতে এক ঘণ্টার জন্য বিকেল চারটে পর্যন্ত লোকসভা মুলতুবি হয়ে যায়। পরে ফের সভা শুরু হতেই হট্টগোল বাধে।