National News

গারো চুক্তিতে কেন ধুলো জমছে, ক্ষোভ

রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের দাবি, সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিল সংক্রান্ত ধারার সংশোধনীর মাধ্যমে এএনভিসির দাবির অনেকটাই পূরণ হয়ে যাবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:৩৬
Share:

ত্রিপাক্ষিক চুক্তিতে শুধু ধুলোই জমেছে। গারোদের কোনও কাজেই আসেনি বলে অভিযোগ। ছবি: সংগৃহীত।

অসমে যে ভাবে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে, জঙ্গি নেতাদের জামিনে মুক্তি দিয়ে, বহু নাশকতায় অভিযুক্ত জঙ্গিদের সাদরে সংবর্ধনা দিয়ে বড়ো চুক্তি সেরে ফেলা হল, তার উল্টো ছবি মেঘালয়ে। সেখানে সংঘর্ষ ছেড়ে, রাজনৈতিক সমাধানসূত্রের আশায় সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেও গত পাঁচ বছরে কোনও ফলই পায়নি এএনভিসি এবং এএনভিসি(বি)। এএনভিসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান বার্নার্ড মারাকের কথায়, “পাঁচ বছর আগে করা ত্রিপাক্ষিক চুক্তিতে শুধু ধুলোই জমেছে। গারোদের কোনও কাজেই আসেনি তা। মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা ও রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস সাংমা নিজেরাও গারো পাহাড়ের লোক। তবু গারোদের সঙ্গে ওই চুক্তি রূপায়ণে কোনও আগ্রহই দেখাচ্ছেন না।” তাঁরা কেন্দ্রেরকাছে দরবার করেছিলেন বিষয়টি নিয়ে। কেন্দ্র জানিয়েছে, রাজ্য সরকারই বিষয়টি নিয়ে আগ্রহ দেখায়নি।

Advertisement

রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের দাবি, সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিল সংক্রান্ত ধারার সংশোধনীর মাধ্যমে এএনভিসির দাবির অনেকটাই পূরণ হয়ে যাবে। যদিও বার্নার্ডের বক্তব্য, সংঘর্ষবিরতি চুক্তির পরে গত পাঁচ বছরে মাত্র তিন বার নাম কা ওয়াস্তে বৈঠক ডাকা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে নিয়মিত মূল্যায়ন বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তা হয়নি। চুক্তিতে আছে পশুপালন, মৎস্যচাষ, কৃষির মতো ১৩টি বিষয় গারো স্বশাসিত পরিষদের হাতে তুলে দিতে হবে। বলা আছে, তৃণমূল স্তর থেকে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে উৎসাহ দিতে পাঁচ বছর পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। কিন্তু কোনও কথাই রাখা হয়নি বলে দাবি বার্নার্ডের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন