রাজ্যসভা। ছবি: সংগৃহীত।
না, তিন তালাক বিল বৃহস্পতিবার পাশ হল না রাজ্যসভায়। বিলটির প্রতিবাদে বিরোধীরা সরব হওয়ায় বৃহস্পতিবার বার বার মুলতুবি হয়ে যায় রাজ্যসভার অধিবেশন। বিলটি অবশ্য গত সপ্তাহে ভালয় ভালয় পাশ হয়ে গিয়েছিল সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায়।
ফলে, বিলটি পাশ করানোর জন্য সরকারের সামনে খোলা থাকল দু’টি পথ। এক, বিলটির কিছু সংশোধন ও পরিমার্জন করার জন্য সংসদের সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো।
আর দুই, বিলটিকে রাজ্যসভায় পাশ করানোর জন্য আরও বেশি সময় নেওয়া। মানে, বিলটিকে সংসদের পরবর্তী বাজেট অধিবেশনে ঠেলে দেওয়া। সংসদের চলতি অধিবেশনের মেয়াদ আর এক দিন। আগামী কাল, শুক্রবার পর্যন্ত।
সরকারি সূত্রের খবর, সরকার তিন তালাক বিলটিকে সংসদের সিলেক্ট কমিটিতে পাঠাতে চাইছে না। কারণ, তার মানেটা দাঁড়াবে, বিরোধীদের চাপে সরকার পিছু হঠল। যা বিরোধীদের ‘রাজনৈতিক জয়’ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন- ভারত ভয় দেখিয়েছে মা-স্ত্রীকে, যাদবকে দিয়ে বলাল পাকিস্তান
আরও পড়ুন- মহারাষ্ট্রের দলিত বিক্ষোভে কোণঠাসা মোদী
বিলটি রাজ্যসভায় ওঠে গত বুধবার। পর পর দু’দিন বিলটি নিয়ে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। আগামী কাল, শুক্রবার, সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের শেষ দিনেও যদি তার ব্যাতিক্রম না ঘটে, সে ক্ষেত্রে বিলটি অন্তত বাজেট অধিবেশন পর্যন্ত পিছিয়ে যাবেই। ফলে, বিলটিকে রাজ্যসভায় পাশ করানোর জন্য বাড়তি সময় পাবে সরকার। যদিও বিরোধীরা তা চাইছেন না। তাঁরা চাইছেন সংশোধন ও পরিমার্জনের জন্য বিলটিকে সংসদের সিলেক্ট কমিটিতে পাঠাতে।
রাজ্যসভায় এ দিন শুরু থেকেই বিলটি নিয়ে তুমুল হইচই করতে থাকেন বিরোধী সদস্যরা। সেই হইচইয়ের মধ্যেই অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, ‘‘বিলটি নিয়ে কংগ্রেস দ্বিচারিতা করছে। সাবোতাজ করছে। লোকসভায় বিলটিকে সমর্থন করেও কংগ্রেস বিলটির বিরোধিতা করছে রাজ্যসভায়।’’
সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অনন্ত কুমার এ দিন প্রশ্ন তোলেন, ‘‘কেউই বিরোধিতা করেননি বলে গত সপ্তাহে লোকসভায় তিন তালাক বিলটি পাশ হয়েছে বিনা বাধায়। তা হলে এখন কেন বিরোধিতা করে বিলটিকে রোখা হচ্ছে রাজ্যসভায়?’’
কংগ্রেসের রাজ্যসভা সদস্য আনন্দ শর্মার বক্তব্য, বিলটিকে কংগ্রেস আদৌ রুখতে চায় না। কংগ্রেস চাইছে বিলটির কিছু পরিবর্তন, পরিমার্জন করা হোক। আর তার জন্য বিলটিকে পাঠানো হোক সিলেক্ট কমিটিতে।