সরকারি বাসভবনে পুজোয় বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। ছবি: বাপি রায়চৌধুরী।
নিজের মন্তব্যেই অবিচল রইলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। তা সে যতই বিতর্ক হোক না কেন। বুধবার ফের তিনি জানালেন, মহাভারতের সময়ে ইন্টারনেট ছিল। ছিল স্যাটেলাইটও।
মঙ্গলবার ওই মন্তব্যের দেশ জুড়েই আলোচনার কেন্দ্রে উঠে আসেন বিপ্লব দেব। তাঁর যুক্তি ছিল, মহাভারতের সময়েই ইন্টারনেট না থাকলে বা উপগ্রহের ব্যবহার না হলে সঞ্জয় কী ভাবে দৃষ্টিহীন ধৃতরাষ্ট্রকে কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের সবিস্তার বর্ণনা ঘরে বসে শুনিয়েছিলেন? তবে বিপ্লব দেবের সে যুক্তিতে সায় দেওয়ার মতো স্বর খুঁজে বার করা যায়নি। উল্টে এই মন্তব্যের জেরে অনেকেরই চোখ কপালে ওঠার জোগাড় হয়েছে।
এ দিন তাঁর দিকে সে বিষয়েই প্রশ্ন ছুড়ে দেন সাংবাদিকেরা। তবে নিজের বক্তব্যে আগের মতোই অনড় থেকেছেন তিনি। এ দিনও তিনি জানান যে, এ দেশে ইন্টারনেট ছিল। তা ছাড়া, সমস্ত কিছুতেই বিজ্ঞানের উপস্থিতি রয়েছে। বিজ্ঞান ছাড়া কিছু নেই। এবং এই ভাবনাগুলি অন্যেরা মানতে রাজি নন। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, তাঁরা নিজেদের দেশকে হেয় করে অন্য দেশকে উঁচু আসনে রাখতে ভালবাসেন। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব বলেন,“আমাদের সকলের এই মানসিকতা থাকা দরকার যে, নিজের মা হচ্ছেন সবচেয়ে বড়। সে রকমই নিজের দেশ হচ্ছে সবচেয়ে বড়।” তিনি আরও বলেন, “এই দেশে প্রযুক্তি ছিল বলে ভারতবাসী হিসাবে আমাদের গর্বিত হওয়া উচিত। এই ভাবনা সব দেশবাসীর থাকা উচিত।”
আরও পড়ুন
মহাভারতের যুগেও ইন্টারনেট ছিল ভারতে, বললেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী
এ দিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের সরকারি বাসভবনে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব সপরিবার পুজো দিয়ে প্রবেশ করেছেন| অনুষ্ঠানের সময় মুখ্যমন্ত্রীর মা,ছেলে-মেয়ে এবং বাড়ির অন্য আত্মীয়স্বজন ছাড়াও ছিলেন জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকার ও তাঁর কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দী।