তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিক্ষোভের জেরে বিধানসভায় ঢুকতেই পারলেন না ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। গাড়ি ঘুরিয়ে ফিরে গেলেন বাড়িতে। ঘণ্টা দুই পরে ফিরে অধিবেশন কক্ষে আর যাননি। বসে থাকেন মুখ্যমন্ত্রীর অফিসেই। বিধানসভায় এ নিয়ে নিন্দা প্রস্তাব আনে শাসক বামফ্রন্ট।
তাকে ঘিরে সভার মধ্যেই ধুন্ধুমার বাধায় তৃণমূল।
আজ সকালে বিধানসভার সামনে মানিকের কনভয় পৌঁছতেই কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থকরা। মানিকবাবুর গাড়ির সামনে শুয়ে নিহত পলিটেকনিক ছাত্রী আনোয়ারা চৌধুরীর মৃত্যুর দ্রুত তদন্তের দাবি জানায় তারা। পরে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে সরিয়ে নিয়ে যায়।
আনোয়ারার মৃত্যু নিয়েই বিধানসভায় আজ বিবৃতি দেওয়ার কথা ছিল মানিকবাবুর। ইতিমধ্যে খবর পৌঁছয় বিধানসভার ভিতরে। শাসক জোটের মুখ্য সচেতক বাসুদেব মজুমদার সভায় একটি নিন্দা প্রস্তাব আনেন। এই ঘটনা বিধানসভার বাইরে হয়েছে, এই প্রশ্ন তুলে তৃণমূল বিধায়ক আশিস সাহা এবং সুদীপ রায়বর্মন প্রস্তাবটি খারিজের দাবি জানাতে থাকেন। সামিল হয় কংগ্রেসও। তবে পাশ হয় নিন্দা প্রস্তাব। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে তাঁর বিবৃতিটি পাঠ করেন পূর্তমন্ত্রী বাদল চৌধুরী। বাদানুবাদ চলতে চলতেই বিরোধী বিধায়করা ওয়েলে নেমে আসেন। কেউ কেউ উঠে পড়েন উপাধ্যক্ষর টেবিলে। সুদীপ রায়বর্মন বিধায়ক আসনের সামনের টেবিল উল্টে দেন। কংগ্রেস বিধায়ক গোপাল রায় বিধানসভার সচিবের মাইক্রোফোনের তার ছিঁড়ে দেন। সভা কিছুক্ষণ মুলতুবি হয়ে যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভায় ঢুকতে না পারাকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা পুলিশি ব্যর্থতা হিসেবেই চিহ্নিত করেছেন। আর বাদল চৌধুরীর বক্তব্য, ‘‘পুলিশ বলপ্রয়োগ করলে রাজনৈতিক জলঘোলা হতো। সেই সুযোগ মানিকবাবু তৃণমূলকে দেননি।’’