ভুয়ো শিক্ষাতথ্যে উত্তাল ত্রিপুরাও

কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, দিল্লির প্রাক্তন আইনমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ তোমরের সঙ্গে জুড়ল ত্রিপুরার ঘোলাঘাটি বিধানসভা কেন্দ্রের সিপিএম বিধায়ক কেশব দেববর্মার নাম!

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আগরতলা শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০১৫ ০৪:১৮
Share:

কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, দিল্লির প্রাক্তন আইনমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ তোমরের সঙ্গে জুড়ল ত্রিপুরার ঘোলাঘাটি বিধানসভা কেন্দ্রের সিপিএম বিধায়ক কেশব দেববর্মার নাম!

Advertisement

শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে নির্বাচন কমিশনে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ উঠল বামফ্রন্টের ওই নেতার বিরুদ্ধেও। যদিও ত্রিপুরা সিপিএম এ কথা মানতে নারাজ। রাজ্যে বিরোধী কংগ্রেস শিবিরের অভিযোগ, ২০০৮ সালে ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোটের সময় কমিশনে দাখিল হলফনামায় কেশববাবু জানিয়েছিলেন, তিনি ১৯৯২ সালে ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অধীনে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন। কিন্তু ২০১৩ সালে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় জানান, ১৯৮৯ সালে তিনি মাধ্যমিক পাশ করেছেন। তথ্য জানার অধিকার আইনে এ কথা জেনেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।

একই রকম অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতির বিরুদ্ধেও। বিরোধী শিবিরের দাবি, শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে উপর্যুপরি ভুল তথ্য দিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী। ২০০৪ সালের রাজ্যসভা ভোটের সময় দাখিল হলফনামায় স্মৃতি জানিয়েছিলেন, তিনি বিএ পাশ করেছেন। কিন্তু ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে তিনি জানান, বিকম প্রথম বর্ষ পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। ভুয়ো ডিগ্রির দায়ে সম্প্রতি পদ খুঁইয়েছেন দিল্লির আম আদমি পার্টির আইনমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ তোমরও। গ্রেফতার করার পর তাঁকে পাঠানো হয় বিচারবিভাগীয় হেফাজতে। স্মৃতি-কাণ্ডে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা। কেশব-কাণ্ডে ত্রিপুরায় সমালোচনায় মুখর কংগ্রেস।

Advertisement

প্রদেশ কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায়বর্মণ দাবি তুলেছেন, ওই বিধায়কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। কমিশনে মিথ্যা হলফনামা দাখিল করে বিধায়ক নির্বাচিত হওয়া কেশববাবুর বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ করারও দাবি জানিয়েছে বিরোধীরা।

কয়েক বছর আগে ত্রিপুরায় বামফ্রন্টের শরিক আরএসপি-র বিধায়ক পার্থ দাসের তফসিল শংসাপত্র নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। বিরোধীরা অভিযোগ তোলে, কমিশনের কাছে জাল শংসাপত্র দাখিল করেছেন পার্থবাবু। পরে, রাজ্য সরকারের তদন্তেও তা প্রমাণিত হয়েছিল। এ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন অভিযুক্ত বিধায়ক। তখন বিষয়টির মীমাংসা হয়নি। তবে রাজ্য বামফ্রন্ট নেতৃত্ব ওই ঘটনার নিন্দা করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন