ফিল্মে যেমনটা হয়! এ যেন তারই প্রতিফলন।
পটভূমি ত্রিপুরার প্রত্যন্ত এলাকা। এলাকায় গিয়ে অব্যবস্থায় ক্ষোভে ফেটে পড়লেন ত্রিপুরার নতুন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। কোনও দীর্ঘকালীন তদন্ত নয়, বরং সঙ্গে সঙ্গেই সাসপেন্ড করলেন তিন আধিকারিককে। খানিকটা ‘নায়ক’ ফিল্মের মুখ্য চরিত্র মুখ্যমন্ত্রীরূপী অনিল কপূরের মতো।
ঠিক কী ঘটেছিল?
মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার চার দিনের মাথায় সোমবার ত্রিপুরার ধলাই জেলার গণ্ডাছড়া মহাকুমায় সফরে যান বিপ্লব দেব। সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিব সঞ্জীব রঞ্জন এবং ধলাইয়ের জেলাশাসক বিকাশ সিংহ। সেখানেই রাস্তাঘাটের বেহাল দশা, স্থানীয় মানুষজনের দুরবস্থা, বিদ্যুৎহীন গ্রাম দেখে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সামনে প্রকাশ্যেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে সেই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, “আমি আসব বলেই রাস্তা ঠিক করা হয়েছে। এখানে গাড়ি আসে না, ট্রাক ঢোকে না। গত দু’বছর ধরে যাঁরা রাস্তার গুণগত মান পরীক্ষার দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁদের ব্ল্যাকলিস্ট কর। কোনও বিভাগীয় তদন্তের প্রয়োজন নেই। আগে তাঁদের সাসপেন্ড কর। তদন্ত পরে হবে।” বছর দুয়েক আগে এই ব্লকের বিডিও ছিলেন প্রদীপ দেববর্মা। এখন তাঁকে অন্য ব্লকে বদলি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর প্রদীপ দেববর্মা-সহ দুই সরকারি আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
‘অত্যন্ত লোভী রত্নাদি’, মুখ খুলেই বিস্ফোরক বৈশাখী
দেখুন সেই ভিডিও
গত ডিসেম্বরে এই মহকুমার ধনুরাম পাড়া এলাকাতে এসেছিলেন বিপ্লব দেব। স্থানীয় সংবাদপত্র মারফত জানতে পেরেছিলেন হতদরিদ্র চৈতন্য রিয়াং এবং তাঁর পরিবারের কথাও। কাঁঠালসিদ্ধ খেয়েই দিন গুজরান করেন তাঁরা। এর পর সেখানে যান তিনি। রিয়াং পরিবারকে প্রতিশ্রুতি দেন, ক্ষমতায় এলে সবচেয়ে আগে এখানেই আসবেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সেই মতো ধনুরাম পাড়াতে এসেছিলেন বিপ্লব দেব। সেখানকার শৌচালয়, রাস্তাঘাট সমেত সামগ্রিক দুরবস্থার ছবি দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। দুর্নীতির দায় পূর্বতন বাম সরকারের ঘাড়ে না চাপিয়ে তা দূর করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।