BBC

‘সত্য সামনে আসবেই’, গুজরাত দাঙ্গার তথ্যচিত্রে ‘নিষেধাজ্ঞা’ নিয়ে মোদীকে খোঁচা রাহুলের

বিরোধীদের অভিযোগ, ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গায় মোদীর ‘ভূমিকা’ তুলে ধরার কারণেই কেন্দ্রের কোপে পড়েছে বিবিসির তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:৫৪
Share:

‘দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ ঘিরে কেন্দ্রের ভূমিকায় প্রশ্ন রাহুলের। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

গোধরা পরবর্তী গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে বিবিসি-র তৈরি তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’-এর প্রদর্শন ও সম্প্রচার বন্ধ করতে প্রবল সক্রিয় নরেন্দ্র মোদী সরকার। সোমবার কেন্দ্রের এই তৎপরতা নিয়ে খোঁচা দিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। জম্মু ও কাশ্মীরে ভারত জোড়ো যাত্রার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘নিষেধাজ্ঞা, দমন এবং ভীতি প্রদর্শন করে সত্য প্রকাশে বাধা দেওয়া যাবে না।’’

Advertisement

বিরোধীদের অভিযোগ, ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গায় মোদীর ‘ভূমিকা’ তুলে ধরার কারণেই কেন্দ্রের কোপে পড়েছে ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’। রাহুল এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘সত্য উজ্জ্বল হয়। এর একটি খারাপ অভ্যাস আছে, সব সময়ই প্রকাশিত হয়ে যায়।’’

রবিবার কেন্দ্রের তরফে ইউটিউব এবং টুইটারকে বিবিসি-র তথ্যচিত্রের লিঙ্ক সমাজমাধ্যম থেকে তুলে নিতে নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। পাশাপাশি, আইটি রুলস ২০২১-এর জরুরি ক্ষমতা প্রয়োগ করে ৫০টির মতো টুইট তুলে নেওয়ার জন্যও কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়। বিরোধী দলের নেতারা একে ‘সেন্সরশিপ’ আখ্যা দিয়েছেন। এর পর কেন্দ্রের ওই নির্দেশিকার কারণে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ) কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে বিবিসির তথ্যচিত্র প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। মঙ্গলবার পড়ুয়াদের একাংশ ওই তথ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করেছিল।

Advertisement

দু’দশক আগে গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জমানায় গোধরা-কাণ্ড এবং তার পরবর্তী সাম্প্রদায়িক হিংসার কথা তুলে ধরা হয়েছে এক ঘণ্টার ওই তথ্যচিত্রে। ‘দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছিল কেন্দ্রীয় সরকার। একে ‘অপপ্রচার’ আখ্যা দিয়ে দাবি করা হয়েছিল, ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে তথ্যচিত্রটি তৈরি। যদিও বিবিসি দাবি করেছে, যথেষ্ট গবেষণা করে তথ্যচিত্রটি তৈরি করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের নির্দেশে মতপ্রকাশের অধিকারের উপর আঘাত এসেছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement