আহতরা হাসপাতালে ভর্তি। ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।
ছাড় মেলেনি জামাকাপড়ের দোকানে। তাই ২ সেলসম্যানকে গুলি করে মারল এক যুবক। গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর জখম আরও দু’জন। অভিযুক্তকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা যায়নি।
বারাণসী ক্যান্টনমেন্ট এলাকার জেএইচভি শপিং মলের ঘটনা। বুধবার সন্ধ্যায় সেখানকার একটি দোকানে জামাকাপড় কিনতে ঢোকে তিন যুবক। জামাকাপড় পছন্দও করে তারা। কিন্তু ঝামেলা বাধে ডিসকাউন্ট নিয়ে।
দোকানের ম্যানেজার এবং সেলসম্যানের সঙ্গে বচসা বাধে তাদের। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। তাতে জড়িয়ে পড়েন দোকানের অন্য কর্মীরাও। সেইসময় পকেট থেকে পিস্তল বের করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে ওই তিন জনের মধ্যে একজন যুবক। তাতে লুটিয়ে পড়েন দোকানের চার কর্মী।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে নাভিশ্বাস! ১০ দিনের ‘পলিউশন ইমার্জেন্সি’ ঘোষণা, বন্ধ নির্মাণ, গণ পরিবহণে জোর
এদিকে, গুলির শব্দে মলের ভিতর হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। আতঙ্কে মল ছেড়ে বেরিয়ে যেতে শুরু করেন মানুষ। সেই সুযোগে ভিড়ের মধ্যে মিশে যায় তিন অভিযুক্ত।
পরে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় দোকানের ওই চার কর্মীকে। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁদের মধ্যে দু’জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। মৃতদের সুনীল এবং গোপী বলে চিহ্নিত করা গিয়েছে। গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন বিশাল সিংহ ও চন্দন শর্মা। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঘটনার পর থেকেই শপিং মল এবং তার আশপাশের এলাকার পরিস্থিতি থমথমে। পুলিশ মোতায়েন হয়েছে সর্বত্র। শপিং মল এবং এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের মধ্যে একজনকে ইতিমধ্যেই শনাক্ত করা গিয়েছে। তার নাম অলোক উপাধ্যায়। সমুদপুরের বাসিন্দা সে। বারাণসীর মহাত্মা গাঁধী কাশী বিদ্যাপীঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলেই থাকত।
আরও পড়ুন: মূর্তি আকাশছোঁয়া, সঙ্কটও, বিক্ষোভের মাঝেই পটেলপুজো প্রধানমন্ত্রীর
দুই বন্ধুকে নিয়ে শপিং মলে গিয়েছিল সে। ঘটনার পর বন্ধুদের সঙ্গে হস্টেলে ফিরে আসে। জিনিসপত্র গুছিয়ে নিয়ে বেরিয়ে যায়। তার পর থেকে তাদের কারও হদিশ নেই।
তদন্তে অন্য একটি তথ্যও উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, ঝামেলার কেন্দ্রে রয়েছে অলোকের প্রেমিকা। শপিং মলের ওই দোকানে কাজ করত সে। মাসখানেক আগে আচমকা ছাড়িয়ে দেওয়া হয় তাকে। বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে প্রেমিকার হয়ে লড়তে গিয়েছিল সে।