— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
মাত্র কয়েক হাজার টাকার জন্য সন্দেহভাজন তিন জঙ্গিকে সাহায্য করেছিলেন কাশ্মীরের ধৃতেরা! সূত্রের খবর, দুই কাশ্মীরিকে গ্রেফতারির পরে এমনটাই তথ্য উঠে এসেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ) হাতে। জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে সম্প্রতি পারভেজ় আহমেদ জোঠর এবং বশির আহমেদ জোঠর নামে দু’জনকে গ্রেফতার করে এনআইএ। সন্দেহ করা হচ্ছে, ওই জঙ্গিরাই পহেলগাঁও কাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে। প্রাথমিক ভাবে ধৃতেরা স্বীকার করেছেন যে, ওই জঙ্গিদের খাওয়া-দাওয়া, যাতায়াত এবং থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন তাঁরা।
এনআইএ-র তদন্ত সম্পর্কে ওয়াকিবহাল সূত্রের ভিত্তিতে ‘টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’ জানিয়েছে, ওই ধৃতেরা জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি কোথায় কোথায় নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে সেই সংক্রান্ত তথ্যও জোগান দিয়েছিলেন। মাত্র কয়েক হাজার টাকার বিনিময়ে তাঁরা এই কাজ করেছিলেন বলে দাবি ওই সূত্রের। গত ২২ এপ্রিল রক্তাক্ত হয় বৈসরন উপত্যকা, নিহত হন ২৬ জন নিরপরাধ মানুষ। যাঁদের মধ্যে ছিলেন ২৫ জন পর্যটক এবং এক জন স্থানীয় বাসিন্দা। ‘টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’র প্রতিবেদন অনুসারে, গত ২০ এবং ২১ এপ্রিল (পহেলগাঁও হামলার আগের দু’দিন) ওই ছোট বসতিতে ছিল জঙ্গিরা।
যদিও সেখানে আশ্রয় নেওয়া জঙ্গিরাই হামলায় জড়িত ছিল কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। একটি বিবৃতিতে এনআইএ জানিয়েছে, সোমবার ওই দুই ধৃতকে জম্মুতে এনআইএ বিশেষ আদালতে পেশ করে পাঁচ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছেন তদন্তকারীরা। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের প্রকাশ করা স্কেচ, ভিডিয়ো ফুটেজ এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানের ভিত্তিতে জঙ্গিদের শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া চলছে। প্রতিটি তথ্যই গুরুত্ব দিয়ে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে এবং এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
সূত্রে খবর, ধৃতেরা জেরায় স্বীকার করেছেন যে, তাঁরা পরিচয় জানার পরেও তিন জঙ্গিকে আশ্রয় দেন এবং সাহায্য করেন। ওই দুই আশ্রয়দাতার বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের ১৯ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তদের নামের তালিকায় ওই দু’জনের নামও যুক্ত করেছে এনআইএ। বস্তুত, পহেলগাঁও জঙ্গিহানার দু’মাসের মাথায় গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত তথ্য পেয়েছেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা।