India-Myanmar Border

মায়ানমার সীমান্তে আক্রান্ত সেনা! পাল্টা গুলিতে দুই জঙ্গির মৃত্যু, সন্দেহের তির নাগা গোষ্ঠীর দিকে

মায়ানমার সীমান্তে সক্রিয় এনএসসিএন (খাপলাং) জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে গত কয়েক বছরে একাধিকবার সেনা এবং অসম রাইফেল্‌সের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২৫ ০৯:৫২
Share:

অরুণাচল প্রদেশে সক্রিয় নিরাপত্তাবাহিনী। —ফাইল চিত্র।

সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষের উত্তপ্ত হল অরুণাচল প্রদেশের মায়ানমার সীমান্ত। শুক্রবার থেকে দফায় দফায় গুলির লড়াইয়ে দুই নাগা জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। নিহতেরা নাগা জঙ্গি সংগঠন এনএসসিএন (খাপলাং-ইউংআং) গোষ্ঠীর বলে সেনা সূত্রের খবর।

Advertisement

অরুণাচলের লংডিং জেলার ওই দুর্গম অঞ্চলে টহলে গিয়ে শুক্রবার সেনা এবং অসম রাইফেল্‌সের যৌথবাহিনী প্রথম হামলার মুখে পড়েছিল। এর পরেই বাড়তি বাহিনী পাঠানো হয় ওই এলাকায়। সেনার প্রত্যাঘাতের জেরে অস্ত্র এবং নিহত দুই সঙ্গীর দেহ ফেলে পালায় জঙ্গিরা। ঘটনাস্থল থেকে একে-৪৭ এবং এম-৪ স্বয়ংক্রিয় রাইফেলের পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে একটি গ্রেনেড লঞ্চার।

উত্তর-পূর্বাঞ্চলের তিন রাজ্যের সঙ্গে মায়ানমারের প্রায় ১৬৪৩ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যে অরুণাচল-মায়ানমার সীমান্ত প্রায় ৫০০ কিলোমিটার। মায়ানমারে সাম্প্রতিক গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতিতে সীমান্তে বিদ্রোহী সশস্ত্র সংগঠনগুলির তৎপরতা বেড়েছে ফলে নজরদারি বাড়িয়েছে সেনা। প্রসঙ্গত, নাগাল্যান্ড এবং মণিপুরে সক্রিয় এনএসসিএন (আইএম) গোষ্ঠীর সঙ্গে গত এক দশক ধরে কেন্দ্রের সংঘর্ষবিরতি চুক্তি বহাল রয়েছে। অন্য দিকে, মায়ানমার সীমান্তে সক্রিয় এনএসসিএন (খাপলাং) জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে গত কয়েক বছরে একাধিকবার সেনা এবং অসম রাইফেল্‌সের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৭ সালে মায়ানমারে ওই গোষ্ঠীর প্রধান এসএস খাপলাংয়ের মৃত্যু হয়েছিল। তার পর সংগঠনটি আবার কয়েকটি গোষ্ঠীতে ভেঙে যায়। অরুণাচল-মায়ানমার সীমান্তের পাশাপাশি এনএসসিএন (খাপলাং-ইউংআং) গোষ্ঠীর সক্রিয়তা রয়েছে অসমেও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement