রাজধানীতে ধর্ষণের অভিযোগ, ধৃত ২

ঘড়িতে তখন সাড়ে ন’টা। আচমকা ভারী কিছু পড়ার শব্দে চমকে গিয়েছিলেন এলাকার লোকজন। প্রথমে অনেকেই ভেবেছিলেন, হয়তো চোর এসেছে। বেরিয়ে এসে তাঁরা দেখেন, আহত অবস্থায় পড়ে রয়েছে এক যুবক-যুবতী। তাতেই সন্দেহ হয়, চুরি করতেই ফ্ল্যাটে ঢোকার চেষ্টা করছিল ওরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৩:৩৩
Share:

ঘড়িতে তখন সাড়ে ন’টা। আচমকা ভারী কিছু পড়ার শব্দে চমকে গিয়েছিলেন এলাকার লোকজন। প্রথমে অনেকেই ভেবেছিলেন, হয়তো চোর এসেছে। বেরিয়ে এসে তাঁরা দেখেন, আহত অবস্থায় পড়ে রয়েছে এক যুবক-যুবতী। তাতেই সন্দেহ হয়, চুরি করতেই ফ্ল্যাটে ঢোকার চেষ্টা করছিল ওরা। আর তাতেই অসাবধানবশত নীচে গিয়ে পড়েছে। তাই দেরি না করেই পুলিশে খবর দিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

Advertisement

কিন্তু এর পরেই ঘটনা নাটকীয় মোড় নেয়। হাসপাতালে ভর্তি করার পরে জেরার সময় ওই তরুণী পুলিশের কাছে বারবার অভিযোগ জানাতে থাকেন, তাঁকে অপহরণ করে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে হিম্মত নামে ওই যুবক। সঙ্গে ছিল সুনীল নামে আর এক জন।

বুধবার রাতে এই ঘটনার সাক্ষী থাকল দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির দ্বারকার কাছে হরি বিহার এলাকা। চলতি বছরে এ নিয়ে দু’হাজারেরও বেশি ধর্ষণের অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে দিল্লি পুলিশের কাছে।

Advertisement

হাসপাতালে ভর্তি করার পরে তরুণীর মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়। তার পরেই হিম্মত ও সুনীলের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা করেছে পুলিশ। হাসপাতাল থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে হিম্মতকে। পরে প্রাক্তন উবের চালক সুনীলও গ্রেফতার হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, গুরুগ্রাম থেকে বছর একুশের ওই তরুণীকে অপহরণ করেছিল দুই অভিযুক্ত। হরি বিহারের ওই ফ্ল্যাটে মেয়েটিকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। এর পরে হিম্মতের সঙ্গে ওই তরুণীকে ফ্ল্যাটে আটকে রেখে চলে যায় সুনীল। সেই সময় মেয়েটি পালানোর চেষ্টা করলে তাঁকে ধাওয়া করে হিম্মত। আর তাতেই ১৫ মিটার নীচে গিয়ে পড়ে ওই দু’জন। এর পরেই আশপাশের লোকজন এসে পুলিশে খবর দিলে প্রকাশ্যে আসে ধর্ষণের ঘটনা।

পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, অনেকটা উঁচু থেকে পড়ে যাওয়ায় দু’জনেরই হাতে ও পিঠে চোট লেগেছে। এখন চিকিৎসা চলছে। হাসপাতালে জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন মেয়েটি হিম্মত ও সুনীলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায়।

পুলিশ সূত্রে খবর, ধর্ষণের কথা অস্বীকার করেছে হিম্মত ও সুনীল। তাদের দাবি, ওই তরুণী তাদের পূর্ব পরিচিত। আর তাঁকে দ্বারকার ফ্ল্যাটে যাওয়ার জন্য কোনও রকম জোর করা হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement