(বাঁ দিকে) দিল্লির করোল বাগে অগ্নিকাণ্ড। লিফ্টে আটকে মৃত যুবক (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
দিল্লির করোল বাগের শপিং মলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। তাঁদের মধ্যে এক জন লিফ্টে আটকে পড়েছিলেন। সেখানেই শ্বাসরুদ্ধ হয়ে যায় তাঁর। আর এক জনের দগ্ধ দেহ উদ্ধার করেছে দমকলবাহিনী। অগ্নিকাণ্ডের সময়ে শপিং মলের লিফ্টটি মাঝপথে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ভিতর থেকে কাতর আর্জি জানাচ্ছিলেন ২৫ বছরের কুমার ধীরেন্দ্র প্রসাদ। তাঁর চিৎকার কারও কানে যায়নি। এমনকি, লিফ্ট থেকে দাদাকে মেসেজও করছিলেন যুবক। কিন্তু দাদা যত ক্ষণে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন, তত ক্ষণে সব শেষ হয়ে যায়। শনিবার ওই দু’জনের দেহ উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৪ মিনিটে করোল বাগের বিশাল মেগা মার্টের তিন তলায় আগুন লেগে গিয়েছিল। বহুতলটি ছিল চার তলার। দমকলের ১৩টি ইঞ্জিনের দীর্ঘ ক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ওই কাজে হাত লাগিয়েছিলেন অন্তত ৯০ জন দমকলকর্মী। কী কারণে আগুন লাগে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে দমকলের প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকে শপিং মলে আগুন লেগেছিল।
শপিং মল থেকে দ্বিতীয় যে দেহটি উদ্ধার করা হয়েছে, সেটি এখনও শনাক্ত করা যায়নি। আগুনে ঝলসে গিয়েছে সেই দেহের অধিকাংশ। তবে দেহটি পুরুষের, নিশ্চিত করেছে পুলিশ। তাঁর নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
ধীরেন্দ্রর দাদা শপিং মল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতি এবং অবহেলার অভিযোগ তুলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সন্ধ্যা ৬টা ৫১ মিনিট থেকে তাঁর ভাই তাঁকে মেসেজ পাঠানো শুরু করেছিলেন। পর পর বেশ কয়েকটি মেসেজ পাঠিয়েই থেমে যান তিনি। যুবক প্রথম মেসেজে লিখেছিলেন একটি শব্দ— ‘দাদা’। তার পর লেখেন, ‘‘আমি লিফ্টে আছি। আটকে গিয়েছি। করোল বাগ মেগা মার্ট।’’ এর পর আসে শেষ মেসেজ— ‘‘এ বার দমবন্ধ হয়ে আসছে। কিছু করো।’’ এর পর আর ওই যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আইনের নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হবে। কী ভাবে আগুন লাগল, যুবকের মৃত্যুতে কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ছিল কি না, খতিয়ে দেখা হবে।