US Pakistan Trade Deal

বাণিজ্য নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে ‘জরুরি’ সমঝোতা করে ফেলল পাকিস্তান! কত শতাংশ শুল্কে কী লেনদেন? ঘোষণার অপেক্ষা

বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য পাকিস্তান থেকে একটি প্রতিনিধিদল আমেরিকায় গিয়েছিল গত সোমবার। পাক বাণিজ্যসচিব জাওয়াদ পাল ওই দলের নেতৃত্বে ছিলেন। চার দিনের সেই সফর শেষ হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৫ ১০:১২
Share:

(বাঁ দিকে) আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

বাণিজ্য নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে সমঝোতা করে ফেলেছে পাকিস্তান। উভয়পক্ষ শুল্ক এবং আমদানি-রফতানি নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। তবে এখনই তা ঘোষণা করা হচ্ছে না। বাকি বাণিজ্যিক সঙ্গীদের সঙ্গে অনুরূপ সমঝোতায় পৌঁছোনোর পরেই আমেরিকার তরফে তা ঘোষণা করা হবে। শনিবার এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন।

Advertisement

বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য পাকিস্তান থেকে একটি প্রতিনিধিদল আমেরিকায় গিয়েছিল গত সোমবার। পাক বাণিজ্যসচিব জাওয়াদ পাল ওই দলের নেতৃত্বে ছিলেন। চার দিনের সেই সফর শেষ হয়েছে। সূত্র উল্লেখ করে ডন জানিয়েছে, মার্কিন আধিকারিকদের সঙ্গে পাক প্রতিনিধিদের আলোচনা সফল। উভয়পক্ষই বাণিজ্যের বৃহত্তর কাঠামোয় সম্মত হয়েছে। কী চুক্তি হল, এখনই তার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হচ্ছে না।

আমেরিকায় দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিক দেশের উপর চড়া হারে বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছিলেন। ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। ভারতের উপর বাড়তি শুল্ক চাপানো হয়েছিল ২৬ শতাংশ। পাকিস্তানের উপর বাড়তি ২৯ শতাংশ কর চাপিয়েছিলেন ট্রাম্প। শুল্ক ঘোষণার পর তিন মাসের জন্য তা স্থগিত করে দেওয়া হয়। আগামী ৯ জুলাই সেই সময়সীমা শেষ হচ্ছে। এর মধ্যে বিভিন্ন দেশকে বাণিজ্য নিয়ে সমঝোতা করতে হবে আমেরিকার সঙ্গে। এখনও ভারতের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। তার আগে সময়সীমার চার দিন বাকি থাকতেই সমঝোতা করে ফেলেছে পাকিস্তান।

Advertisement

আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যিক সমঝোতার ফলে আগামী দিনে মার্কিন পণ্যের আমদানি বৃদ্ধি পেতে পারে পাকিস্তানে। মনে করা হচ্ছে, বিশেষত খনিজ তেল কেনার ক্ষেত্রে এর পর আমেরিকাকে প্রাধান্য দিতে পারে ইসলামাবাদ। আরও বেশি করে আমেরিকা থেকে তেল কেনা হতে পারে। একই সঙ্গে পাকিস্তানের খনি, বিদ্যুৎ ও অন্যান্য পরিকাঠামোয় মার্কিন বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেতে পারে।

৯ জুলাইয়ের মধ্যে বাণিজ্য নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছোতে না পারলে কোনও কোনও দেশের ক্ষেত্রে আরও সময় দিতে পারে আমেরিকা। মার্কিন কোষাগার সচিব স্কট বিসেন্ট এ কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু পাকিস্তানি আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, তাঁরা দেরি করতে রাজি ছিলেন না। দেশের রফতানিকারক, ব্যবসায়ী এবং বিনিয়োগকারীদের অনিশ্চয়তা দ্রুত দূর করাই ছিল তাঁদের লক্ষ্য। তাই চার দিন আগেই সমঝোতা সম্পূর্ণ করে ফেলেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement