এমকিউএম যোগেই আটক দুই ধর্মগুরু

করাচির ‘মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট’-এর সঙ্গে যোগ থাকার সন্দেহেই দিল্লির দুই মুসলিম ধর্মগুরুকে আটক করেছে পাকিস্তান। হজরত নিজামুদ্দিন দরগার ধর্মগুরু সৈয়দ আসিফ নিজামি ও নাজিম নিজামিকে পাক গোয়েন্দারা কোনও গোপন ডেরায় নিয়ে গিয়েছেন বলে পাক সরকারি সূত্রে খবর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৭ ০৩:৩৬
Share:

করাচির ‘মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট’-এর সঙ্গে যোগ থাকার সন্দেহেই দিল্লির দুই মুসলিম ধর্মগুরুকে আটক করেছে পাকিস্তান। হজরত নিজামুদ্দিন দরগার ধর্মগুরু সৈয়দ আসিফ নিজামি ও নাজিম নিজামিকে পাক গোয়েন্দারা কোনও গোপন ডেরায় নিয়ে গিয়েছেন বলে পাক সরকারি সূত্রে খবর।

Advertisement

করাচিতে বোনের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা ছিল আসিফ নিজামির। সঙ্গে ছিলেন ভাইপো নাজিম। করাচির আগে লাহৌরে সুফি সন্ত বাবা ফরিদ গংয়ের দরগায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন দু’জনে। বৃহস্পতিবার তাঁদের ‘অদৃশ্য’ হওয়া নিয়ে হইচই শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে সরব হয় দিল্লি। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই ওই দু’জনকে কোনও কারণে আটক করেছে বলে তখনই আঁচ করেছিলেন ভারতীয় গোয়েন্দারা।

আজ পাক সরকারি সূত্রেই মেনে নেওয়া হয়েছে, ওই দু’জনকে লাহৌরের আল্লামা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করাচিগামী বিমান থেকে নামানো হয়। তার পরে তাঁদের কোনও অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান গোয়েন্দারা। পাক সরকারি সূত্রের দাবি, ‘মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট’ (এমকিউএম)-এর সঙ্গে ওই দুই ধর্মগুরুর যোগ আছে বলে ধারণা আইএসআইয়ের। সে জন্যই তাঁদের জেরা করা হচ্ছে। কোনও প্রমাণ পাওয়া না গেলে ছেড়ে দেওয়া হবে।

Advertisement

দেশভাগের সময়ে ভারত থেকে পাকিস্তানে যাওয়া মানুষকে নিয়ে তৈরি এমকিউএম সিন্ধুপ্রদেশে বিশেষ প্রভাবশালী। করাচি-সহ সিন্ধুর নানা শহরে হিংসার পিছনেও তাদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ পাক সরকারের। ইসলামাবাদের দাবি, এমকিউএম-কে গোপনে মদত দেয় ভারত। গত বছর এমকিউএম নেতা আলতাফ হুসেনের পাকিস্তান-বিরোধী এক বক্তৃতার পরে এই সংগঠনের বিরুদ্ধে ফের বড় ধরনের অভিযান শুরু করেছে পাক সরকার।

সরকারি ভাবে অবশ্য দুই ভারতীয় ধর্মগুরুকে নিয়ে এখনও স্পষ্ট ভাবে কিছু জানায়নি পাকিস্তান। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র নাফিস জাকারিয়ার দাবি, ‘‘এখনও ওঁদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট সব দফতরকে জরুরি ভিত্তিতে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।’’

চুপ করে বসে নেই ভারতও। টুইটারে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। যোগাযোগ করা হয়েছে করাচিতে সৈয়দ নিজামির বোনের সঙ্গেও। তবে সুষমার দাবি, লাহৌর নয়, করাচি বিমানবন্দরে নামার পরেই ওই দু’জন নিখোঁজ হয়ে যান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন