sabaraimala temple

শবরীমালায় ইতিহাস! মন্দিরে প্রবেশ করলেন ৪০ বছরের দুই মহিলা

শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ ৫০ অনূর্ধ্ব দুই মহিলার

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০১৯ ০৯:১৮
Share:

শবরীমালা মন্দিরের প্রবেশদ্বারে দুই মহিলা। ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া

সুপ্রিম কোর্ট দরজা খুলেছিল ২৮ সেপ্টেম্বর। চার মাস কেটে যাওয়ার পরও ঋতুমতী কোনও মহিলা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেননি। অবশেষে ইতিহাস তৈরি করলেন দুই মহিলা। বুধবার শবরীমালা মন্দিরে ঢুকলেন বছর চল্লিশের দুই মহিলা। পুলিশের দাবি, সাত সকালেই মন্দিরে ঢুকে আয়াপ্পা স্বামীর মন্দিরে প্রার্থনা করে নির্বিঘ্নে ফিরেও এসেছেন তাঁরা। সেই সঙ্গেই অবসান হল ১০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে বয়সের মহিলাদের মন্দিরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার। শুরু হল এক নয়া অধ্যায়ের। যদিও আয়াপ্পা ভক্তদের বক্তব্য, দুই মহিলার দাবি সঠিক নয়।

Advertisement

শবরীমালা মন্দিরে ১০ থেকে ৫০ বছরের অর্থাৎ ঋতুকালীন বয়সের মহিলারা প্রবেশ করতে পারতেন না। বহু প্রাচীন কাল থেকে এই প্রথাই চলে আসছিল। এমনকি, মন্দিরে ঢোকার সময় বয়সের প্রমাণপত্রও দেখাতে হত মন্দির কর্তৃপক্ষকে। এই প্রথার বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্ট এ বছরের সেপ্টেম্বরে রায় দিয়ে জানায়, ধর্মাচরণে নারী-পুরুষ ভেদাভেদ করা যায় না। সব বয়সের মহিলাদের প্রবেশাধিকার দেওয়ার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।

তার পর থেকে বহু মহিলা মন্দিরে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু আয়াপ্পার দর্শন হয়নি। মন্দিরে প্রবেশে বাধা দিয়েছে আয়াপ্পার ‘ভক্ত’রা। প্রতিবাদ-বিক্ষোভে আটকে দিয়েছেন মন্দিরে প্রবেশের রাস্তা। এত দিন পুলিশ-প্রশাসনও সেখানে ছিল কার্যত ঠুঁটো জগন্নাথ।

Advertisement

আরও পড়ুন: তিন তালাক ও শবরীমালা ভিন্ন বিষয়, দাবি মোদীর

আরও পড়ুন: সব প্রশ্নের ‘খোলামেলা’ জবাব, ভোটের আগে নয়া অবতারে মোদী?

এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার মধ্যরাতে মন্দিরে ঢোকার জন্য শবরীমালা পাহাড়ের পেম্বা বেস থেকে যাত্রা শুরু করেনবিন্দু এবং কনকদুর্গা নামে ওই দুই মহিলা। তাঁদের দু’জনেরই বয়স ৪০-এর আশেপাশে বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের কর্ডন করে নিয়ে যায় ছোট্ট একটি পুলিশের দল। ওই দলে ইউনিফর্ম পরা এবং সাদা পোশাকের পুলিশ ছিল। অবশেষে ভোর পৌনে ৪টে নাগাদ মন্দিরের দরজায় পৌঁছন দুই মহিলা। কালো কাপড় পরে তাঁরা মন্দিরে ঢুকে আয়াপ্পা স্বামীর কাছে প্রার্থনা সেরে বিনা বাধায় নীচে নেমে আসেন।

সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরও মন্দিরে প্রবেশে বাধা দিচ্ছিল একাধিক সংগঠন। মন্দিরের প্রায় এক কিলোমিটার আগে থেকেই কার্যত এই সংগঠনগুলি দেওয়াল তুলে দিয়েছিল। কেউ মন্দিরে প্রবেশের জন্য পাহাড়ে উঠতে গেলেই তাঁদের বাধা দিচ্ছিল। তেমনই একটি সংগঠন ‘আয়াপ্পা ধর্ম সেনা’র এক সদস্য রাহুল ঈশ্বর বলেন, ‘‘আমি মনে করি না এটা সত্যি। ওই দুই মহিলা অত্যন্ত গোপনে মন্দিরে প্রবেশ করে থাকতে পারে। বিষয়টি সত্যি বলে আমরা জানতে পারলে, তার পর উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।’’

(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement