Ayodhya Ram Mandir

ওড়িশা থেকে পায়ে হেঁটে অযোধ্যার পথে দুই তরুণ, ১৪০০ কিমি যাত্রাপথে বোঝাবেন আধ্যাত্মিকতা

দুই যুবকের নাম কুরেশ বেহেরা এবং সোনু বিসোই। রবিবার বেরহামপুর থেকে অযোধ্যার উদ্দেশে যাত্রা করেন তাঁরা। তার আগে স্থানীয় রামমন্দিরে পুজো দেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২৪ ১৫:৩২
Share:

অযোধ্যার রামমন্দির। — ফাইল চিত্র।

পায়ে হেঁটে এ বার ওড়িশা থেকে অযোধ্যা যাচ্ছেন দুই যুবক। যদিও ২২ জানুয়ারি রামলালার বিগ্রহে প্রাণপ্রতিষ্ঠা তাঁদের আর দেখা হবে না। কারণ, ওড়িশার গঞ্জাম জেলার বেরহামপুর থেকে অযোধ্যা পৌঁছতে ১,৪০০ কিলোমিটার পায়ে হাঁটতে হবে তাঁদের। তাতে অন্তত ৪০ দিন প্রয়োজন।

Advertisement

দুই যুবকের নাম কুরেশ বেহেরা এবং সোনু বিসোই। তাঁরা চন্দপুর এবং কনিশির বাসিন্দা। দু’জনেই বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। রবিবার বেরহামপুর থেকে অযোধ্যার উদ্দেশে যাত্রা করেন তাঁরা। তার আগে স্থানীয় রামমন্দিরে পুজো দেন। এর পর ব্যাগ কাঁধে রওনা দেন। ব্যাগে রয়েছে গেরুয়া পতাকা। মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি। গ্রামের অনেকেই তাঁদের সঙ্গে ১০-১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত গিয়েছিলেন। তার পর তাঁরা আবার ফিরে আসেন। অযোধ্যার দিকে এগিয়ে যান কুরেশ এবং সোনু।

কুরেশ জানিয়েছেন, পথে প্রথম দিনে অনেকেই তাঁদের উদ্দেশে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিচ্ছেন। তাঁর কথায়, ‘‘রোজ ৩০ থেকে ৩৫ কিলোমিটার হাঁটার লক্ষ্য স্থির করেছি। আগামী ৪০ দিন ধরে পথ চলব। মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে থাকতে পারব না। তবে তার পরে মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনা করব।’’ বিসোই জানান, নিজের চোখে মন্দিরে এক বার অন্তত রামলালাকে প্রতিষ্ঠিত দেখতে চান তিনি। দু’জনে জানিয়েছেন, পথে মন্দিরে রাত কাটাবেন তাঁরা। যাতায়াতের পথে মানুষকে বোঝাবেন, অধ্যাত্মিক পথে চলা কতটা জরুরি। এর আগে মহারাষ্ট্র থেকে পায়ে হেঁটে অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন এক মুসলিম তরুণী। শবনম নামে ওই তরুণী জানিয়েছিলেন, রাম সব ধর্ম নির্বিশেষে সকলের। রামের কাছে যেতে হিন্দু হতে হয় না।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন