স্কুল চত্বরেই জ্বালানির ট্যাঙ্ক, বিপদে শিশুরা 

নিজের বাড়িতে একটি সাংবাদিক বৈঠকে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী জানান, ১৬ এপ্রিল কে আর মঙ্গলম স্কুলের জি কে-টু শাখার কয়েক জন ছাত্রছাত্রীর অভিভাবকেরা স্কুলে বেশ কিছু অনিয়মের অভিযোগ আনেন তাঁর কাছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:১৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে দক্ষিণ দিল্লির এক নামী স্কুল চত্বরের মধ্যেই মাটির নীচে ছিল জ্বালানির তেল রাখার একটি বড়সড় ট্যাঙ্ক। বিষয়টি প্রশাসনের সামনে আসার পর সেখানে হানা দিয়ে ট্যাঙ্কটি থেকে প্রায় ২,৫০০ লিটার ডিজেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। জ্বালানি বার করে নিয়ে বালি দিয়ে ভরে বন্ধ করে দেওয়া হয় ট্যাঙ্কটি। ছাত্রছাত্রীদের সুরক্ষার বিষয়টিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এ রকম বেআইনি ভাবে জ্বালানি রাখার জন্য ওই স্কুলটির বিরুদ্ধে এফআইআর-এর নির্দেশ দিয়েছেন খোদ দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী তথা শিক্ষামন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া। তাঁর মন্তব্য, ‘‘টাইম বোমার উপর ছাত্রছাত্রীদের বসিয়ে রাখা হয়েছিল এত দিন।’’

Advertisement

নিজের বাড়িতে একটি সাংবাদিক বৈঠকে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী জানান, ১৬ এপ্রিল কে আর মঙ্গলম স্কুলের জি কে-টু শাখার কয়েক জন ছাত্রছাত্রীর অভিভাবকেরা স্কুলে বেশ কিছু অনিয়মের অভিযোগ আনেন তাঁর কাছে। তার মধ্যে এই জ্বালানির ট্যাঙ্কের বিষয়টিও ছিল। এর পর প্রধান সচিবকে সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট (এসডিএম)-এর নেতৃত্বে একটি দল পাঠিয়ে অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন তিনি। এসডিএম-এর পাশাপাশি ওই দলে দমকল, দিল্লি জল বোর্ড, পুলিশ এবং স্কুল বিষয়ক দফতরগুলির সদস্যদের শামিল করতে বলেছিলেন তিনি। ২০ এপ্রিল দলটি ওই স্কুলে হানা দেয়। হানা দিয়ে, ট্যাঙ্কটি ছাড়াও স্কুল চত্বরের ভিতরেই বেশ কয়েকটি খোলা নলকূপেরও সন্ধান পেয়েছে দলটি। সরকার তদন্ত চালাচ্ছে বলে জানান তিনি।

যদিও যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে গ্রেটার কৈলাস অঞ্চলের ওই স্কুলটি। কর্তৃপক্ষের দাবি, স্কুলটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। তাই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্যই ওই ডিজেল মজুত রাখা হত। আইনের বেঁধে দেওয়া নিয়ম মেনেই রাখা ছিল জ্বালানির পরিমাণও। তা ছাড়া ট্যাঙ্কটি স্কুল ভবনের থেকে খানিক দূরে, মাটির নীচে ছিল।’’

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন