প্রতীকী চিত্র।
স্ত্রী প্রীতির সঙ্গে দিল্লির উসমানপুর এলাকায় বাস করতেন সুবোধ জৈন নামের বছর ৪২-এর এক ব্যক্তি। তাঁদের বিয়ে হয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগে। একটি সন্তানও রয়েছে তাঁদের। কিন্তু বিবাহিত জীবনে কিছুতেই সুখী হতে পারছিলেন না প্রীতি। তাছাড়া রাহুল জৈন নামের বছর তিরিশের এক ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কও ছিল তাঁর। সেই প্রেমিকের সাহায্যেই স্বামীকে খুন কারর অভিযোগ উঠল প্রীতির বিরুদ্ধে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত বুধবার ভোরে অচৈতন্য অবস্থায় সুবোধকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে স্বামীর মৃত্যুর পরও স্বাভাবিক থাকতে দেখা গিয়েছে প্রীতিকে। প্রীতি জানিয়েছিলেন, সুবোধ নাকি প্রায়শই এ রকম অচৈতন্য হয়ে পড়তেন। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেতেই পুলিশের সামনে আসে সত্য। সেই রিপোর্টে দেখা যায়, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে সুবোধকে।
তারপরই প্রীতিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় পুলিশ। তখনই সামনে আসে সত্যিটা। পুলিশের দাবি, জেরার মুখে প্রীতি জানিয়েছেন, প্রেমিক রাহুলের সঙ্গে পরিকল্পনা করে স্বামীকে খুন করিয়েছেন তিনি। এর জন্য বিজয় হুডা নামে এক ব্যক্তির সাহায্যও নিয়েছিলেন তাঁরা। এর জন্য বিজয়কে দেড় লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন রাহুল। সুবোধের সঙ্গে বিয়ে করে তিনি অখুশি ছিলেন বলেই এ কাজ করেছেন বলে দাবি করেন প্রীতি।
আরও পড়ুন: ‘ফিরসে মোদী আয়েগা’, কারনটা জেনে নিন এই বাচ্চার থেকে
পরিকল্পনা মতো, মঙ্গলবার রাতে খাবারের সঙ্গে সুবোধকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দিয়েছিলেন প্রীতি। বাড়ির চাবি দিয়ে রেখেছিলেন রাহুলের কাছে। রাহুলের কাছ থেকে সেই চাবি নিয়ে বিজয় এসে খুন করেন সুবোধকে।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রীতি, রাহুল ও বিজয়— হত্যার সঙ্গে জড়িত তিনজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইল ল্যাপটপও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ব্যস্ত রাস্তায় চলন্ত বাইকে চুম্বন যুগলের, ভাইরাল ভিডিয়ো