ভাগলপুর-দুমকা-রামপুরহাট রেলপথে ‘ডবল লাইন’-এর কাজে অর্থ বরাদ্দে অনুমোদন দিল কেন্দ্র। —ফাইল চিত্র।
ভোটমুখী বিহারের জন্য রেলপ্রকল্পে অর্থ বরাদ্দে অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। ভাগলপুর-দুমকা-রামপুরহাট রেলপথে ‘ডবল লাইন’-এর কাজের অর্থ বরাদ্দে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে এই পথে একটিই রেল লাইন (সিঙ্গল লাইন) রয়েছে। এই রেলপথ সম্প্রসারিত করে ‘ডবল লাইন’-এ রূপান্তরিত করার কাজ চলছে। বিহারের পাশাপাশি এই প্রকল্পের সুবিধা পাবে পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ড।
মোট ১৭৭ কিলোমিটার রেলপথে ‘ডবল লাইন’-এর কাজ হবে। এর মধ্যে প্রায় ৪৭ কিলোমিটার রেলপথ রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এই কাজের জন্য ৩,১৬৯ কোটি টাকা বরাদ্দে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থনীতি বিষয়ক কমিটি বৈঠকে বসেছিল। ওই বৈঠকেই ভাগলপুর-দুমকা-রামপুরহাট রেলপ্রকল্পের কাজে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গকে যুক্ত করে এই রেলপথ।
বস্তুত, সামনেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গেও বিধানসভা ভোট রয়েছে। তার আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই রেলপ্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দে অনুমোদন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “এই প্রকল্পের জন্য ৩,১৬৯ টাকা বিনিয়োগ হবে। এটি বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গকে সংযুক্ত করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প।” এই প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে তিন রাজ্য মিলিয়ে প্রায় ৪৪১টি গ্রামের ২৮ লক্ষেরও বেশি মানুষ উপকৃত হবেন বলে দাবি কেন্দ্রের।
রেলমন্ত্রীর বক্তব্য, বর্তমানে ভাগলপুর থেকে বেশির ভাগ ট্রেন মালদহ টাউন এবং রামপুরহাট হয়ে হাওড়়ায় যায়। ডবল লাইনের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে অনেক ট্রেন ভাগলপুর থেকে দুমকা যেতে পারবে। তার পরে সেখান থেকে সরাসরি পৌঁছে যেতে পারবে রামপুরহাটে। এ ছাড়া বুধবারের বৈঠকে বক্সার-ভাগলপুর সড়ক পথের ‘হাই স্পিড করিডর’-এর জন্যও অর্থ বরাদ্দে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। চার লেনের ওই সড়কপথে মোকামা থেকে মুঙ্গের পর্যন্ত প্রায় ৮২ কিলোমিটারের কাজের জন্য ৪,৪৪৭ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।