পুলিশকে পাল্টা গ্যাসের শেল ছুড়ছে এক ছাত্র। শ্রীনগরে সোমবার। ছবি: রয়টার্স
পুলওয়ামার কলেজে পড়ুয়াদের মারধরের অভিযোগ ঘিরে আজ ফের রণক্ষেত্র হল কাশ্মীর।
শনিবার পুলওয়ামার ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে পুলিশ-সিআরপিএফের চেকপোস্ট বসানোর প্রতিবাদ জানায় পড়ুয়াদের একাংশ। ফলে বাহিনীর সঙ্গে তাদের গোলমাল শুরু হয়। সংঘর্ষে ৫৪ জন পড়ুয়া আহত হয় বলে দাবি বিভিন্ন সংগঠনের।
সেই ঘটনার প্রতিবাদে আজ পথে নামে পড়ুয়ারা। মৌলানা আজাদ রোডে শ্রীপ্রতাপ কলেজের কাছে মিছিল বের করে এক দল পড়ুয়া। তাদের বাধা দেয় পুলিশ। ফলে শুরু হয় পাথর ছোড়া। পাল্টা কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে বাহিনী। কিছু ক্ষণ পরেই কাছের মহিলা কলেজ ও শহরের অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও বিক্ষোভ শুরু হয়।
খবর ছড়িয়ে পড়ায় বিক্ষোভ ছড়ায় গান্ধেরবাল, বারামুলা, শোপিয়ান ও পুলওয়ামার কলেজেও। সংঘর্ষে আহতের সংখ্যা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার জেরে ফের উপত্যকায় ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। আগামিকাল বন্ধ থাকবে কাশ্মীরের সব উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজও।
আরও পড়ুন:নারদের এফআইআরে কাঠগড়ায় এক ডজন নেতা-মন্ত্রী
পড়ুয়াদের বিক্ষোভ নিয়ে পিডিপি-র কড়া সমালোচনা করেছেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা। তাঁর বক্তব্য, ‘‘কাশ্মীর জুড়ে ছাত্র বিক্ষোভের ফল মেহবুবা জানেন কি?’’ ওমরের মতে, পুলওয়ামার ঘটনার পরেই কলেজ-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা উচিত ছিল। মেহবুবা পরিস্থিতি সম্পর্কে আদৌ সচেতন নন।
বিক্ষোভে জেরবার মেহবুবা সরকারকে ভাবাচ্ছে জঙ্গিরাও। গত কালই বান্দিপোরার হাজিনে প্রাক্তন জঙ্গি ও ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা আকবর লোনের ঘনিষ্ঠ রশিদ বিল্লাকে বাড়িতে ঢুকে খুন করে জঙ্গিরা। জঙ্গি সংগঠন ছেড়ে সরকারের পক্ষে যোগ দিয়েছিলেন বিল্লা। ১৯৯৫ সালে সরকারি বিশেষ বাহিনীর (ইখওয়ান) সদস্য হিসেবে সাত জনকে হত্যার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। রশিদের ছেলে জানিয়েছেন, দুই প্রতিবেশী জঙ্গিদের পথ দেখিয়ে আনে।