Uttar Pradesh Incident

বৃন্দাবনের মন্দিরের প্রণামী বাক্সের টাকা গুনতে গুনতে চুরি! ব্যাঙ্ককর্মীর কাছ থেকে উদ্ধার লক্ষাধিক টাকা

খবর প্রকাশ্যে আসতেই ওই কর্মীকে বরখাস্ত করেছেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০২০ সাল থেকে ওই ব্যাঙ্কের বৃন্দাবন শাখায় কাজ করছেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:২৬
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

বৃন্দাবনের মন্দিরের প্রণামী বাক্সে জমা পড়া টাকা গুনতে গুনতে হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল এক ব্যাঙ্ককর্মীর বিরুদ্ধে। শনিবার ওই ব্যাঙ্ককর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুধু তা-ই নয়, তাঁর কাছ থেকে নগদ ন’লক্ষ টাকারও বেশি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও খবর।

Advertisement

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বৃন্দাবন শহরের ঠাকুর বাঁকেবিহারী মহারাজ মন্দিরের টাকা চুরির অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, মথুরার ড্যাম্পিয়ার নগরে ওই ব্যাঙ্কের শাখায় কর্মরত অভিনব সক্সেনার দায়িত্ব ছিল ওই মন্দিরের টাকা গোনার। অভিযোগ, টাকা গোনার সময়ই চুরি করেন তিনি! পুলিশ সূত্রে খবর, গত তিন দিন ধরে ওই টাকা সরাচ্ছিলেন অভিনব। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় চুরির কথা স্বীকারও করেছেন তিনি।

খবর প্রকাশ্যে আসতেই অভিনবকে বরখাস্ত করেছেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০২০ সাল থেকে ওই ব্যাঙ্কের বৃন্দাবন শাখায় কাজ করছেন তিনি। চুরির বিষয়ে সন্দেহ হওয়ার পরই মন্দির কমিটির এক জন সদস্য থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। রামপুরের বাসিন্দা অভিনব কি একাই এই চুরির সঙ্গে যুক্ত, নাকি নেপথ্যে অন্য আরও কেউ রয়েছেন, তা-ও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

এফআইআর অনুসারে, মন্দিরচত্বরে রাখা ১৬টি ‘দানপাত্রে’ ভক্তেরা প্রণামী দেন। ওই বাক্সগুলিতে জমা হওয়া টাকা প্রতি মাসে এক বার বা কখনও দু’বার গুনে মন্দির ট্রাস্টের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়। মন্দির কমিটির এক কর্তা জগন্মোহন বলেন, ‘‘যে সব ব্যাঙ্কে আমাদের অ্যাকাউন্ট আছে, মন্দিরের দানপাত্রে জমা পড়া টাকা গোনার জন্য তাদের চিঠি দিই। চার দিন আগে বৃন্দাবনের বিদ্যাপীঠ ক্রসিংয়ের কানাড়া ব্যাঙ্কের শাখাতে চিঠি পাঠিয়েছিলাম। তারা অভিনব এবং অন্য এক কর্মীকে টাকা গোনার জন্য পাঠিয়েছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় আমাদের ট্রাস্টের একজন কর্মী সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করার সময় টাকা চুরির ঘটনাটি দেখতে পান।’’

বিষয়টি নজরে আসতেই ট্রাস্টের সদস্যেরা অভিনবকে গিয়ে ধরেন। টাকা চুরির বিষয়টি নিয়ে প্রশ্নও করেন। কিন্তু প্রথমে তিনি অস্বীকার করেন। তখন তাঁর ব্যাগ এবং তাঁকে তল্লাশি করে এক লক্ষ টাকার বেশি পাওয়া যায়। পরে তাঁর থেকে আরও টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement