মহম্মদ আখলাক। —ফাইল চিত্র।
বছর দশেক আগের ঘটনা। উত্তরপ্রদেশের দাদরিতে মহম্মদ আখলাক খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ প্রত্যাহার করার আর্জি জানিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে সেই আর্জি খারিজ করে দিল উত্তর প্রদেশের গৌতম বুদ্ধ নগরের একটি ফাস্ট-ট্র্যাক আদালত।
দিনটা ছিল ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫। উত্তরপ্রদেশের দাদরি পরগনার বিসারা গ্রামে ৫০ বছরের মহম্মদ আখলাককে পাথর দিয়ে পিটিয়ে খুন করে জনতা। তিনি গোমাংস খেয়েছিলেন বলে গ্রামে গুজব ছড়িয়েছিল। এমনকি, তাঁর বাড়ি থেকে গোমাংস পাওয়া গিয়েছিল বলেও দাবি করা হয়েছিল। আখলাকের ছোট ছেলে দানিশকেও মারধর করা হয়।
সেই ঘটনায় পুলিশ প্রাথমিক ভাবে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় এফআইআর দায়ের করে। তার মধ্যে খুনের ধারাও ছিল। গণপিটুনির ঘটনায় মোট ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ, যাঁদের মধ্যে তিন জন নাবালক। অভিযুক্তদের মধ্যে রবিন বিচারাধীন অবস্থায় জেলেই মারা যায়। বাকি অভিযুক্তেরা এখন জামিনে মুক্ত। তাঁদের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ প্রত্যাহারের আবেদন করেছিল সরকার।
মঙ্গলবার অতিরিক্ত জেলা বিচারক সৌরভ দ্বিবেদী সরকারের আর্জি খারিজ করে দেন। ‘লাইভ ল’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, দাদরি মামলার প্রতিদিন শুনানির নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শুধু তা-ই নয়, এই মামলার সঙ্গে যুক্ত সব তথ্যপ্রমাণ সুরক্ষিত করার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারক।
কেন অভিযোগ প্রত্যাহারের আর্জি জানানো হয়েছিল? আবেদনে বলা হয়েছে, সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখার স্বার্থে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার চায় রাজ্য। তবে সেই আর্জিতে সাড়া দিল না উত্তর প্রদেশের আদালত। অন্য দিকে, রাজ্যের আবেদনকে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই এলাহাবাদ হাই কোর্টে মামলা করেছেন আখলাখের স্ত্রী ইকরামন।