ঘুষের টাকা অনলাইনে পাঠিয়ে বিপাকে পুলিশ অফিসার। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ঘুষ নেওয়া অবৈধ। তবে প্রায়শই পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কিন্তু অভিযোগ উঠলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রমাণ করার কোনও জায়গা থাকে না। কারণ, পুরোটাই হয় নগদে লেনদেন। তবে এ বার ‘ডিজিটাল ঘুষ’ নিয়ে বিপাকে পড়লেন উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড়ের এক থানার ইনচার্জ।
সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি অনলাইন লেনদেনের ‘স্ক্রিনশট’ ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়। দাবি করা হচ্ছে, অনলাইনে ঘুষ নিয়েছেন অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার। তার পরে সেই টাকা ভার অনলাইনে পরিবারের সদস্যদের পাঠিয়েছেন তিনি। টাকার অঙ্ক প্রায় ২৫ হাজার। যদিও ওই ভাইরাল ‘স্ক্রিনশটের’ সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম। বলা হচ্ছে, ওই লেনদেন করেছেন প্রতাপগড়ের হাতিগাওয়ান থানার ইনচার্জ। তবে এই অভিযোগ নিয়ে মুখ খোলেননি তিনি। জেলার উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকেরাও এ ব্যাপারে কিছু মন্তব্য করতে চাননি।
অন্য দিকে, ওই একই জেলায় পৃথক এক ঘুষকাণ্ড ঘটেছে। লীলাপুর থানার দুই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে স্থানীয় দোকানদারদের থেকে দেদার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগকে কেন্দ্র করে শোরগোল হতেই অভিযুক্ত দুই পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। পুলিশ সুপার অনিল কুমার জানিয়েছেন, লালগঞ্জ থানার সার্কল অফিসারের প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে। শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্তও।