National News

বিজেপি বিধায়কের বাড়িতে ঢুকে পরপর গুলি, গ্রেনেড হামলা

বুধবার রাত ১২টা ৪০ মিনিটে নিজের কেন্দ্র সারধানা থেকে মেরঠের লাল কুর্তি এলাকার বাসভবনে ফেরেন সঙ্গীত সোম। তখনই একটি মারুটি সুইফট গাড়িতে করে তাঁর বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায় এক দল দুষ্কৃতী। বিধায়ককে লক্ষ্য করে পরপর চারটি গুলি চালায় তারা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মেরঠ শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১০:৪৪
Share:

হামলার পর বালির বস্তা দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে গ্রেনেড। ছবি: এএনআই-এর টুইটার হ্যান্ডল থেকে

যোগীর রাজ্যে এ বার বিজেপি বিধায়কের বাড়িতে গ্রেনেড হামলা। সারধানার বিতর্কিত বিধায়ক সঙ্গীত সোমকে লক্ষ্য করে গুলি চালাল দুষ্কৃতীরা। যদিও গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। গ্রেনেডটিও ফাটেনি। ফলে ক্ষয়ক্ষতি তেমন কিছু হয়নি। তবে বুধবার গভীর রাতের এই ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ-প্রশাসনের।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত ১২টা ৪০ মিনিটে নিজের কেন্দ্র সারধানা থেকে মেরঠের লাল কুর্তি এলাকার বাসভবনে ফেরেন সঙ্গীত সোম। তখনই একটি মারুটি সুইফট গাড়িতে করে তাঁর বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায় এক দল দুষ্কৃতী। বিধায়ককে লক্ষ্য করে পরপর চারটি গুলি চালায় তারা। তবে একটিও তাঁর গায়ে লাগেনি। এরপর বাড়ির মধ্যে একটি গ্রেনেড ছুড়ে দিয়ে ওই গাড়িতে উঠেই চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। গ্রেনেডটি ফাটেনি।

খবর পেয়ে রাতেই বিধায়কের বাড়িতে পুলিশ গিয়ে তদন্ত শুরু করে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরাও খুঁটিয়ে পরীক্ষা করার পর নমুনা সংগ্রহ করেন। তবে কী কারণে হামলা, তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান সঙ্গীত। তাঁর বাড়ি লাল কুর্তি এলাকা অভিজাত এবং হাই সিকিওরিটি জোন। তার মধ্যেও দুষ্কৃতীদের হামলায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

Advertisement

বিজেপি বিধায়ক সঙ্গীত সোম। ছবি: এএনআই-এর টুইটার হ্যান্ডল থেকে

আরও পড়ুন: নমাজের জন্য মসজিদ কি অপরিহার্য? সুপ্রিম কোর্টে রায় আজ

বিধায়ক নিজেও জানিয়েছেন, কারা হামলা চালাতে পারে, সে বিষয়ে তিনি অন্ধকারে। তবে সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেছেন, দু’বছর আগে ফোনে আমাকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আমাকে খুন করা হবে।”

আরও পডু়ন: মোবাইল-ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আধার বাধ্যতামূলক নয়, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট

কট্টর হিন্দুত্ববাদে বিশ্বাসী সঙ্গীত সোম ২০১৩ সালে উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগর দাঙ্গায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত। সেই সময় গ্রেফতারও হন তিনি। পরে জামিনে ছাড়া পান। এরপর ২০১৭ সালে তাঁর তৈরি একটি তথ্যচিত্রে ২০১৩ সালের দাঙ্গার ছবি দেখিয়ে ফের গ্রেফতার হন। গোরক্ষার নামে মারধর, হামলার মতো একাধিক অভিযোগেও নাম জড়িয়েছে বিতর্কিত এই বিধায়কের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন