(বাঁ দিকে) রাজীবের স্ত্রী সাধনা। রাজীব (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
এক দিকে গর্ত খোঁড়া চলছিল, আর তার পাশেই যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন যুবক। গর্তটা খোঁড়া হচ্ছিল তাঁর জন্যই। জনা এগারো লোক দ্রুত গর্ত খুঁড়ে কাজটা সেরে ফেলতে চাইছিলেন। যুবককে জীবন্ত পুঁতে ফেলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বেঁচে ফেরেন যুবক। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের বরেলীর।
যুবকের নাম রাজীব। চিকিৎসকের সহকারী হিসাবে কাজ করেন। তাঁকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী সাধনা-সহ এগারো জনের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর, রাজীবকে খুনের পরিকল্পনা করেন তাঁর স্ত্রী। নিজের পাঁচ ভাইকে বিষয়টি জানান। তার পর তাঁরা সকলে মিলে কয়েক জন ভাড়াটে খুনি নিয়ে আসেন রাজীবকে খুন করার জন্য। ২১ জুলাই রাতে রাজীবের বাড়িতে ১১ জনের একটি দল হামলা চালায়। রাজীবের হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়। তার পর তাঁকে গাড়িতে করে সিবি গঞ্জ এলাকার একটি জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গর্ত খোঁড়া হয়।
গর্ত খোঁড়া শেষ হয়ে গেলে রাজীবকে তার মধ্যে ফেলে মাটিচাপা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল হামলাকারীদের। রাজীবকে গর্তে ফেলতে যাবেন, ঠিক সেই সময় এক ব্যক্তি ওই জঙ্গলের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। কিছি একটা সন্দেহ হওয়ায় উঁকি মারতেই দেখেন এক যুবক মাটিতে পড়ে রয়েছেন। যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। তত ক্ষণে হামলাকারীরা গা ঢাকা দিয়েছিল। ওই ব্যক্তিই তখন আশপাশের লোকজনকে ডাকেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশেও। পুলিশ এসে রাজীবকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। রাজীবের বাবার অভিযোগ, তাঁর পুত্রবধূ খুন করার চেষ্টা করেছিলেন তাঁদের পুত্রকে। একটি অভিযোগও দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রাজীবের স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চালাচ্ছে তারা। ২০০৯ সালে রাজীবের সঙ্গে বিয়ে হয় সাধানার। তাঁদের দুই সন্তানও রয়েছে। তবে রাজীবকে কেন খুনের চেষ্টা হয়েছিল, তার উত্তরের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।