নামীদামি কোচিং সেন্টারে না গিয়ে বাড়িতেই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছেন সিভিল সার্ভিসে দ্বিতীয় অনু।
সাফল্য পেতে পরিশ্রমের যে কোনও বিকল্প নেই, তা ফের প্রমাণ করলেন হরিয়ানার বাসিন্দা অনু কুমারী। ২০১৭ সালের ইউপিএসসি পরীক্ষায় দ্বিতীয় হয়েছেন তিনি। মেয়েদের মধ্যে প্রথম।
চার বছরের ছেলে, স্বামী নিয়ে ভরা সংসার ৩১ বছরের অনুর। জানালেন, ঘর সামলেও দিনে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পড়তেন। স্বপ্ন ছিল আইএএস হওয়ার। গত বছর মাত্র এক নম্বরের জন্য ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রথম পর্যায়েই আটকে যান অনু। তাতে অবশ্য দমেননি। নতুন উদ্যমে এ বছরের জন্য তৈরি হয়েছেন। শুক্রবার পরীক্ষার ফল বেরনোর পরে উচ্ছ্বসিত অনু জানালেন তাঁর সাফল্যের গোপন কথা। বললেন, ‘‘জীবনে কোনও কিছু পেতে গেলে প্রবল ইচ্ছেশক্তি চাই। আর তা থাকলে কোনও কিছুই অধরা নয়’’। কথায় কথায় জানালেন, কাজে যোগ দেওয়ার পরে দেশ জুড়ে মেয়েদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে চান তিনি। রাজ্যের মেয়ের এই সাফল্যে খুশি হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। টুইটারে অনু কুমারীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘আশা করছি অনুর সাফল্যে হরিয়ানার মেয়েরা অনুপ্রাণিত হবে।’’
পদার্থবিদ্যায় স্নাতক অনু আইএমটি নাগপুর থেকে এমবিএ করেছেন। জানালেন, নামীদামি কোচিং সেন্টারে না গিয়ে বাড়িতেই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছেন। হরিয়ানার যে প্রত্যন্ত গ্রামে তিনি পড়াশোনা চালিয়েছেন, সেখানে খবরের কাগজ পৌঁছয় না। তবে ইন্টারনেট ঘেঁটে প্রয়োজনীয় সমস্ত খুঁটিনাটিতেই নজর রাখতেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রাক্তনী। একই পথে সাফল্য পেয়েছেন তেলঙ্গানার ছেলে দুরিশেট্টি অনুদ্বীপ। ইউপিএসসি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন তিনি। জানালেন, বাড়িতে বসেই প্রস্তুতি নিয়েছেন। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়ার অভ্যেস তাঁর বরাবরের।
২০১৭ সালের ইউপিএসসিতে প্রায় সাড়ে নয় লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে শেষ ধাপে উত্তীর্ণ হয়েছেন মাত্র ৯৯০ জন। সাফল্যের তালিকায় প্রথম ২৫ জনের মধ্যে ৮ জনই মহিলা।