নওয়াজ শরিফ
কাশ্মীরে লাগাতার অত্যাচারের কারণে উরির সেনাঘাঁটিতে হামলা হয়ে থাকতে পারে বলে মন্তব্য করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।
আজ কোঝিকোড়ে উরির ঘটনার জন্য আরও একবার পাকিস্তানকে কাঠগড়ায় তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগেই লন্ডনে সাংবাদিক বৈঠকে ফের সব দায় ঝেড়ে ফেলেন শরিফ। উল্টে ভারতের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলে তিনি বলেন, ‘‘উরির হামলা কাশ্মীরে অত্যাচারের প্রতিক্রিয়াতে হতে পারে। কারণ গত দু’মাসে কাশ্মীরে যাঁরা মারা গিয়েছেন বা অন্ধ হয়েছেন, তাঁদের কাছের মানুষরা ক্ষুব্ধ, ব্যথিত।’’ দু’দিন আগে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার অধিবেশনেও কাশ্মীর প্রসঙ্গে সরাসরি ভারতকে বিঁধেছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে নিহত হিজবুল জঙ্গি নেতা বুরহান ওয়ানিকে আখ্যা দিয়েছিলেন ‘স্বাধীনতা যুদ্ধের সেনানী’ হিসেবে। আর আজ বোঝাতে চাইলেন, পাকিস্তানের জঙ্গিরা নয়, ভারতীয় সেনাবাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ কাশ্মীরের মানুষই উরির সেনাঘাঁটির উপরে হামলা চালিয়েছে। শরিফের কথায়, ‘‘ভারত কোনও প্রমাণ ছাড়াই দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো পাকিস্তানকে দায়ী করছে।’’
ভারতের দিকে আজ চোখ রাঙিয়েছেন পাক সেনাপ্রধান রাহিল শরিফও। উপলক্ষ নিয়ন্ত্রণরেখায় বাড়তি সেনা মোতায়েন। গত ২৪ ঘণ্টায় কাশ্মীরে তিন জন পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়েছে। অনুপ্রবেশকারীদের সুবিধা করে দিতে পাক সেনা গুলি চালালে, জোরালো জবাব দিতে বলা হয়েছে সেনা এবং বিএসএফকে। সেনার একটি সূত্রের খবর, উরির ঘটনার পরেই একটি বাড়তি ব্রিগেড নিয়ন্ত্রণরেখায় মোতায়েন করা হয়েছিল। আরও দু’টি ব্রিগেড হিমাচলের ধর্মশালা ও উধমপুর থেকে আনা হয়েছে। যার অর্থ, নিয়ন্ত্রণরেখায় প্রায় ১৫ হাজার বাড়তি জওয়ান মোতায়েন করে ফেলেছে ভারত। যা দেখে রাহিল শরিফের মন্তব্য, ‘‘যে কোনও রকম হামলার মোকাবিলার ক্ষমতা আমাদের রয়েছে।’’
পাশাপাশি, মোদী সরকার বালুচিস্তানের প্রসঙ্গ তুলে ইসলামাবাদকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছে দেখে পাক প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বালুচের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা বুগতিকে প্রত্যর্পণের জন্য ইন্টারপোলকে অনুরোধ করা হবে।