(বাঁ দিকে) মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো। আমেরিকার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। শনিবার সকালেই তাঁদের কথা হয়েছে। মার্কিন বিদেশ দফতর ফোনালাপের কথা জানানোর পর জয়শঙ্করও সমাজমাধ্যমে এই সংক্রান্ত পোস্ট করেছেন। এর আগে রুবিয়ো ফোন করেছিলেন পাকিস্তানে। পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সঙ্গে তাঁর কথা হয়। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা প্রশমনের জন্য আলোচনায় বসার ডাক দিয়েছিলেন মার্কিন বিদেশসচিব। জয়শঙ্করকেও একই অনুরোধ করেছেন তিনি।
মার্কিন বিদেশ দফতর থেকে বিবৃতিতে মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস জানিয়েছেন, মার্কো রুবিয়ো ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে কথা বলেছেন। উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনের উপায় খোঁজার উপর জোর দিয়েছেন তিনি। ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে জোর দেওয়া হয়েছে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ পুনঃপ্রতিষ্ঠার উপরেও। ভবিষ্যতের সংঘাত এড়াতে এবং উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা সহজতর করতে আমেরিকা সবরকম সহায়তায় প্রস্তুত, জয়শঙ্করকে তা জানিয়ে দিয়েছেন মার্কিন বিদেশসচিব।
এই কথোপকথনের কথা জানিয়ে সমাজমাধ্যমে জয়শঙ্কর লিখেছেন, ‘‘আজ সকালে মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়োর সঙ্গে ফোনে কথা হল। ভারত সবসময়ে সংযমী এবং দায়িত্বশীল থেকেছে, তা-ই থাকবে।’’
উল্লেখ্য, পহেলগাঁও হামলা এবং তৎপরবর্তী ঘটনাপ্রবাহে প্রথম থেকেই কূটনীতির পথে হাঁটার বার্তা দিয়ে এসেছে আমেরিকা। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পহেলগাঁও কাণ্ডের পরে সন্ত্রাসবাদী হামলার নিন্দা করেছিলেন। তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সও একই বার্তা দেন। রুবিয়ো একাধিক বার কথা বলেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইশক দারের সঙ্গে। মার্কিন বিদেশসচিবের সঙ্গে ভারত এবং পাকিস্তানে তাঁর পরিপূরক পদাধিকারী জয়শঙ্কর বা দারের কথা বলা স্বাভাবিক। কিন্তু বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা না-বলে রুবিয়ো কেন সরাসরি পাক সেনাপ্রধানকে ফোন করলেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
সীমান্তে সংঘাত চলছে। শনিবার কাকভোর থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ অংশে ‘হেভি শেলিং’ হয়েছে। পাক গোলায় কাশ্মীরে সরকারি আধিকারিক-সহ তিন জনের মৃত্যুও হয়েছে। ভারতীয় সেনা সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছে, পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তান সেনা মোতায়েন বৃদ্ধি করছে। সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে পাকিস্তানি সৈন্য।