সবেধন বিধায়ক! নজরদার পাঠালেন মায়াবতী

উদ্বিগ্ন জেডিএস নেতা দেবগৌড়ার অনুরোধে লখনউ থেকে বেঙ্গালুরুতে পাহারাদার পাঠিয়েছেন মায়াবতী! বিএসপির রাজ্যসভার সদস্য অশোক সিদ্ধার্থ চোখের আড়াল করছেন না মহেশকে। আগামী ২৪ ঘণ্টা তাঁর দলীয় দায়িত্ব, মহেশের সঙ্গে সঙ্গে থাকা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০১৮ ০৪:০৩
Share:

সাকুল্যে কর্নাটকে এক জন মাত্র বিধায়ক বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি)-র। সেই এন মহেশই এখন বিজেপির কাছে মহামূল্যবান। রাজনৈতিক সূত্রের খবর, শুধু তিনি নন, তাঁর বাড়ির লোকেদের সঙ্গেও নিরন্তর যোগাযোগ রেখে চলেছেন বিজেপির ‘০০৭’-রা! দাবি একটাই, আগামিকাল ভোট দিতে হবে বিজেপির পক্ষে। মোটা বিনিময়-মূল্যেরও প্রতিশ্রুতি রয়েছে বলেও অভিযোগ।

Advertisement

উদ্বিগ্ন জেডিএস নেতা দেবগৌড়ার অনুরোধে লখনউ থেকে বেঙ্গালুরুতে পাহারাদার পাঠিয়েছেন মায়াবতী! বিএসপির রাজ্যসভার সদস্য অশোক সিদ্ধার্থ চোখের আড়াল করছেন না মহেশকে। আগামী ২৪ ঘণ্টা তাঁর দলীয় দায়িত্ব, মহেশের সঙ্গে সঙ্গে থাকা। বিধায়কের সঙ্গে কেউ দেখা করতে চাইলে আগে জবাবদিহি করতে হচ্ছে অশোকের কাছে। তাঁর কথায়, ‘‘মহেশকে নিয়ে চিন্তা নেই। তিনি নেত্রীকে জানিয়েছেন, কোনও প্রলোভনে পা দেওয়া হচ্ছে না। তাঁকে কিছু বলতে হলে আগে মায়াবতীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।’’ তা সত্ত্বেও বিজেপি শিবির দাবি করছে, বিএসপি বিধায়ক তাদের পকেটে!

কর্নাটকের টানটান চিত্রনাট্যের এ একটি প্রতীকী দৃশ্যমাত্র। বিজেপির থাবা এড়াতে রীতিমতো লুকোচুরি খেলছে কংগ্রেস এবং জেডিইউ! বিধায়কদের হায়দরাবাদে নিয়ে গিয়ে গত দু’দিন ধরে হোটেলে নজরবন্দি রেখেছিল কংগ্রেস। তাঁদের নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রথমে বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা হয়েছিল। কংগ্রেসের অভিযোগ, বিমান মন্ত্রক কলকাঠি নাড়ায় শেষ পর্যন্ত বাসে করে নিয়ে যেতে হয় বিধায়কদের। প্রথমে ভাবা হয়েছিল অন্তত দিন দশেক ‘বন্দি’ রাখা হবে তাঁদের। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট আগামিকালই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়ায় তড়িঘড়ি বিধায়কদের ফিরিয়ে আনতে হায়দরাবাদ যান সদ্য-প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটারে লেখেন, ‘আস্থা ভোটের পরে আমরা, আঞ্চলিক দলগুলি পরবর্তী কর্মসূচি স্থির করব।’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন