যোগী আদিত্যনাথ।
নতুন বছরে উত্তরপ্রদেশ সরকার পরিচালিত মাদ্রাসাগুলিতে এ বার থেকে ছুটি থাকবে বড়দিন, দীপাবলি, দশেরা, মহাবীর জয়ন্তী, বুদ্ধপূর্ণিমা, মহানবমী এবং রাখি উৎসবেও। তবে বছরের মোট ছুটির সংখ্যা কিছুটা কমছে। উত্তরপ্রদেশ মাদ্রাসা বোর্ডের তরফে ২০১৮ সালের যে ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হয়েছে, সেই খানেই উঠে এসেছে এই তথ্য। এর মধ্যেই উত্তরপ্রদেশ মাদ্রাসা বোর্ডের ওয়েবসাইটে তথ্য না দেওয়ার জন্য রাজ্যের ২,৩০০ মাদ্রাসার স্বীকৃতি বাতিল হতে পারে বলে বুধবার জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী লক্ষ্মীনারায়ণ চৌধুরি। সব মিলিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে যোগী
আদিত্যনাথের রাজ্যে।
এর আগে মাদ্রাসাগুলি মোট ৯২টি ছুটি পেত। এখন তা কমিয়ে ৮৬টি করা হয়েছে। রমজান উপলক্ষে ৪৬টি ছুটি কমিয়ে ৪২টি করা হয়েছে। এ ছাড়া মাদ্রাসার ম্যানেজারদের ১০টি ছুটি দেওয়ার ক্ষমতা ছিল। সেই ক্ষমতাও আর তাঁদের থাকছে না। এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথকে চিঠি লিখে বিষয়টিতে তাঁর হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছে টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব মাদারিজ অ্যারাবিয়া। অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক দিওয়ান সাহাব জামান বলেন, ‘‘রমজানের আগে ১০ দিন ছুটি দেওয়া হতো। নতুন ক্যালেন্ডার অনুযায়ী তা কমিয়ে দু’দিন করা হয়েছে। এর ফলে মাদ্রাসার ছাত্র এবং শিক্ষকদের সময়ে বাড়ি পৌঁছতে অসুবিধা হবে।’’ লক্ষ্মীনারায়ণ চৌধুরি অবশ্য জানিয়েছেন, সমস্ত বোর্ড, বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাদ্রাসার ক্ষেত্রেই এই বদল প্রযোজ্য।
উত্তরপ্রদেশে রাজ্য মাদ্রাসা বোর্ড স্বীকৃত মাদ্রাসা রয়েছে ১৯,১০৮টি। এক সাক্ষাৎকারে লক্ষ্মীনারায়ণ চৌধুরি বলেন, ‘‘এর মধ্যে ১৬,৮০৮টি মাদ্রাসা বোর্ডের ওয়েবসাইটে তাদের তথ্য দিয়েছে। ২,৩০০ মাদ্রাসা তথ্য দেয়নি। এই মাদ্রাসাগুলি তাদের কাছে ভুয়ো এবং জানুয়ারির শেষ দিকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।’’ মন্ত্রী জানিয়েছেন, তথ্য দেওয়ার সময়সীমা গত বছরের ১৫ জুলাই, ৩০ জুলাই এবং ১৫ অগস্ট বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু ওই ২,৩০০ মাদ্রাসার পক্ষ থেকে কেউই সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।