UP Murder Case

ট্রলিব্যাগ থেকে উদ্ধার স্বামীর দেহ! অভিযুক্ত স্ত্রী, ভাইপোর সঙ্গে প্রেম পাঁচকান হওয়ার ভয়েই কি হত্যা?

মাত্র ১০ দিন আগেই দুবাই থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন। এরই মধ্যে স্ত্রী এবং তাঁর প্রেমিকের হাতে ‘খুন’ হলেন মাঝবয়সি এক তরুণ। তাঁকে খুন করে ট্রলিব্যাগের মধ্যে ভরে একটি পরিত্যক্ত জায়গায় ফেলে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:৫০
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

ট্রলি ব্যাগের ভিতর থেকে মিলল দুবাই ফেরত তরুণের দেহ! ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়া জেলায়। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের স্ত্রী এবং ভাইপোর মধ্যে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সেই সম্পর্কের কথা পাঁচ কান হওয়া থেকে আটকাতেই স্ত্রী এবং তাঁর প্রেমিক মিলে ওই তরুণকে খুন করেছেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

গত রবিবার সকালে দেওরিয়ার পাটখৌলি গ্রামে রাস্তার ধারে একটি ফাঁকা জমি থেকে উদ্ধার হয় ট্রলি ব্যাগটি। পুলিশ ওই ট্রলি ব্যাগটি খুলে এক পুরুষের দেহাংশ উদ্ধার করে। তবে ওই দেহাংশ কার, তা শুরুতে বোঝা যাচ্ছিল না। প্রথম দেহাংশ উদ্ধারের কয়েক ঘণ্টা পরে পার্শ্ববর্তী এলাকায় অন্য একটি ব্যাগ থেকে শরীরের নিম্নাংশ উদ্ধার হয়। আরও পরে আশপাশের এলাকা থেকে বিদেশি সিম কার্ড, বিমানবন্দর থেকে ব্যাগের জন্য দেওয়া ট্যাগ এবং পাসপোর্ট-সহ কিছু নথিপত্রের প্রতিলিপি উদ্ধার করে পুলিশ। সেই থেকেই যুবকের নাম পরিচয় প্রথম পুলিশের গোচরে আসে। পুলিশ জানতে পারে ৩৮ বছর বয়সি নওশাদ আহমেদ মাত্র ১০ দিন আগেই দুবাই থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন।

সেই সূত্র ধরে নওশাদের বাড়িতে পৌঁছোয় পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদে নওশাদের স্ত্রী রাজ়িয়া দাবি করেন, তিনি আগের রাতে বাড়িতে ছিলেন না। কিন্তু বাড়িতে কিছু রক্তের ছাপ এবং অন্য একটি ট্রলি ব্যাগ দেখে সন্দেহ জাগে পুলিশের। শেষে আরও জিজ্ঞাসাবাদ চালাতেই পুলিশের কাছে ঘটনার কথা স্বীকার করে নেন ওই মহিলা। রাজ়িয়া জানান, তাঁকে এই খুনে সাহায্য করেছিলেন তাঁর আত্মীয় রুমান এবং ওই আত্মীয়ের বন্ধু হিমাংশু। রাজ়িয়াকে ইতিমধ্যে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তবে বাকি দু’জন এখনও অধরা। তাঁদের খোঁজ চালানো হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement