National News

গণধর্ষণের পর মহিলাকে মন্দিরে জীবন্ত পুড়িয়ে মারল দুষ্কৃতীরা

মহিলার স্বামীর অভিযোগ, মৃত্যুর আগে পুলিশকে ফোন করারও চেষ্টা করেছিলেন তাঁর স্ত্রী। কিন্তু, কোনও সাহায্যই মেলেনি। গোটা ঘটনায় গ্রামবাসী এবং পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বরেলী শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৮ ১৪:৩৫
Share:

দুর্যোগের রাতে মহিলাকে ঘুম থেকে উঠিয়ে তাঁর উপর চলে গণধর্ষণ। প্রতীকী ছবি।

কয়েক মাস ধরেই মহিলাকে উত্যক্ত করছিল তাঁর গ্রামের জনা পাঁচেক লোক। কাজের সূত্রে দিনমজুর স্বামী থাকেন গাজিয়াবাদে। আর সেই সুযোগেই রাতের অন্ধকারে মহিলার বাড়িতে ঢুকে তাঁকে গণধর্ষণ করল ওই পাঁচ জন। এর পর তাঁর বাড়ির সামনে একটি মন্দিরে জীবন্ত পুড়িয়ে মারল তাঁকে। শিউরে ওঠার মতো এই ঘটনা ঘটেছে শনিবার গভীর রাতে উত্তরপ্রদেশের সম্ভল জেলায়। গণধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে ওই পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, দুই সন্তানের মা বছর পঁয়ত্রিশের ওই মহিলা রাজপুরা থানার অন্তর্গত একটি গ্রামে থাকতেন। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে ওই মহিলার স্বামী জানিয়েছেন, শনিবার রাত থেকেই এলাকায় প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল। সেই দুর্যোগের রাতেই বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়ে ওই পাঁচ জন।এর পর মহিলাকে ঘুম থেকে উঠিয়ে তাঁর উপর চলে গণধর্ষণ।

রাজপুরা থানার আধিকারিক অরুণ কুমার জানিয়েছেন, ঘটনার পর ওই পাঁচ জন চলে গেলে প্রথমেই স্বামীকে ফোন করার চেষ্টা করেন ওই মহিলা। তাঁকে যোগাযোগ করতে না পেরে এর পর নিজের ভাইকেও ফোন করার চেষ্টা করেন। কিন্তু, তাঁকেও যোগাযোগ করা যায়নি। অবশেষে এক আত্মীয়কে ফোন করে গোটা ঘটনাটা জানান তিনি। ফোনেই অভিযুক্তদের নাম-পরিচয়ও জানিয়ে দেন।

Advertisement

আরও পড়ুন
ফের হোয়াটসঅ্যাপে গুজব, কর্নাটকে পিটিয়ে খুন গুগল ইঞ্জিনিয়ারকে

এর কিছু ক্ষণ পর ফের ওই বাড়িতে ফিরে আসে ওই পাঁচ জন। এ বার ওই মহিলাকে ঘর থেকে টানতে টানতে বার করে এনে কাছেই একটি মন্দিরে নিয়ে যায়। সেখানে মহিলার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। তাঁর চিৎকার শুনেও গ্রামবাসীরা কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি বলে অভিযোগ।

মহিলার স্বামীর অভিযোগ, মৃত্যুর আগে পুলিশকে ফোন করারও চেষ্টা করেছিলেন তাঁর স্ত্রী। কিন্তু, কোনও সাহায্যই মেলেনি। গোটা ঘটনায় গ্রামবাসী এবং পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে।

আরও পড়ুন
বিয়ের জন্য বন্দুক ঠেকিয়ে হুমকি, যুবককে জুতোপেটা মহিলার

এডিজি প্রেম প্রকাশ জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্তে নেমে ওই মহিলার ফোনকলের রেকর্ড সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই সূত্র ধরেই ওই গ্রামেরই আরম সিংহ, মহাবীর, চরণ সিংহ, গুল্লু এবং কুমারপালের নাম প্রকাশ্যে আসে। এর পর একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ করে খুন, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন