মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কংগ্রেস বিধায়কদের বিক্ষোভে শামিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীও। পিটিআই
চেয়েছিলেন শুধু বদলি। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সেই কথা বলতে গিয়ে মেজাজ হারিয়ে সাসপেন্ড তো হয়েছেনই, গ্রেফতারও করা হয়েছিল তাঁকে। উত্তরাখণ্ডের সেই শিক্ষিকা উত্তরা বহুগুণা জানিয়েছেন, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ফোন করে তাঁর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু তাতে তিনি অখুশি। কেন? উত্তরার বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিংহ রাওয়ত তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছিলেন। অতএব ক্ষমা চাইতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকেই।
২৫ বছর ধরে উত্তরকাশীর স্কুলে পড়িয়েছেন উত্তরা। এখন তিনি প্রধান শিক্ষিকা। স্বামীর মৃত্যুর পরে সন্তানদের কাছাকাছি থাকতে দেহরাদূনের কোনও স্কুলে বদলি চাইছিলেন তিনি। ব্যর্থ হয়ে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর আম-দরবারে। গন্ডগোল বাধে সেখানেই। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োয় দেখা যায়, উত্তরার সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য-বিনিময় চলার ফাঁকেই তাঁকে সাসপেন্ড ও গ্রেফতার করার নির্দেশ দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে সংবাদ সংস্থাকে উত্তরা বলেছেন, ‘‘শিক্ষামন্ত্রী আমাকে ফোনে জানান, আমার সমস্যাটা নিয়ে আগামী ৩ জুলাই আমার সঙ্গে দেখা করে সমাধান খোঁজার চেষ্টা করবেন। আমি ওঁকে বলেছি, শিক্ষা দফতর আমার সঙ্গে কী অন্যায় করেছে। উনি ক্ষমা চান। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী কেন ক্ষমা চাইবেন? উনি তো কিছু করেননি। মুখ্যমন্ত্রী আমাকে অপমান করেছেন। ক্ষমা তাঁর চাওয়া উচিত।’’
গ্রেফতার করার সময়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়েছিল উত্তরার বিরুদ্ধে। প্রধান শিক্ষিকার ছেলে শুভমের বক্তব্য, ভিডিয়োটা পুরো দেখলেই বোঝা যাবে, মুখ্যমন্ত্রী উস্কেছিলেন বলেই তাঁর মা ওই রকম আচরণ করেন। শুভমের কথায়, ‘‘মা ভুল কিছু বলেছেন বলে আমি মনে করি না। এ ভাবে কোনও মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্য সভায় কথা বলেন নাকি? ওঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত।’’
তথ্যের অধিকার আইনে একটি আবেদনে অবশ্য জানা গিয়েছে যে, গত ২২ বছরে রাজধানী দেহরাদূনের বাইরে কখনওই বদলি হননি মুখ্যমন্ত্রী রাওয়তের স্কুলশিক্ষিকা স্ত্রী।