উত্তরপ্রদেশে ভোটের জন্য ত্রিমুখী কৌশল নিচ্ছে কংগ্রেস।
নরেন্দ্র মোদীর বারাণসী থেকে জনসভা শুরু করবেন সনিয়া গাঁধী। তার আগে সংগঠনকে চাঙ্গা করতে লখনউতে রাহুল গাঁধী ৫০ হাজার দলীয় কর্মীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। দলের অন্দরমহলে জোর গুঞ্জন, প্রিয়ঙ্কা বঢরাও সেখানে যোগ দিতে পারেন। আর, ২৭ বছর ধরে কংগ্রেস উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় না-থাকায় রাজ্যের কতখানি দুর্দশা হয়েছে, তাই নিয়ে প্রচারে নামছেন শীলা দীক্ষিত, রাজ বব্বররা। প্রচারের মূল সুর, ‘সাত্তাইশ সাল, ইউপি বেহাল’।
২০১৯-এর লোকসভা ভোটের দিশা অনেকটাই ঠিক করে দেবে উত্তরপ্রদেশের ভোট। আগামী বছরের গোড়ায় সেই ভোটের জন্য কার্যত আজ থেকেই প্রচার শুরু করে দিল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী শীলা দীক্ষিত, প্রদেশ সভাপতি রাজ বব্বর দিল্লি থেকে তিন দিনের বাসযাত্রায় বেরিয়ে পড়লেন। আপাতত গন্তব্য কানপুর। গোটা রাজ্যে এ রকম ২৭টি বাসযাত্রার পরিকল্পনা রয়েছে দলের।
লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদী এবং বিহার ভোটে নীতীশ কুমারের পরে প্রশান্ত কিশোর এ বার উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের প্রচার-পরিকল্পনার দায়িত্ব নিয়েছেন। তাঁর পরামর্শ মেনেই প্রয়াত ব্রাহ্মণ নেতা উমাশঙ্কর দীক্ষিতের পুত্রবধূ শীলাকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে প্রমোদ তিওয়ারি, রীতা বহুগুণা জোশী, সঞ্জয় সিংহের মতো ব্রাহ্মণ-ঠাকুর নেতাদের এক বাসে যাত্রা করিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মুছে ফেলতে চাইছেন সনিয়ারা। প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় সিংহ বলেন, ‘‘আলাদা গাড়িতে গেলে মনে হতো, যে যার নিজের মতো চলছেন। এক বাসে সবাই থাকায় সেই সমস্যা হবে না।’’ তবে দুঃখের কথা একটাই। এ দিন বাসে ওঠার পরেই শীলা জ্বরে কাবু হয়ে পড়েন। তাঁকে ফিরে আসতে হয়। সুস্থ হওয়ার পরে ফের বাসে উঠবেন তিনি। ‘টিম প্রশান্ত’-এর সদস্যরাও সঙ্গে রয়েছেন। কোথায় বাস থামিয়ে জনসভা হবে, কাদের সঙ্গে নেতারা দেখা করবেন, সব তাঁরাই ঠিক করছেন।
এ বারের ভোটে কংগ্রেসের পাখির চোখ উচ্চবর্ণের ভোট। প্রশান্তের পরামর্শ, উচ্চবর্ণের ব্রাহ্মণ ও ঠাকুর ভোটকেই মূল নিশানা করতে হবে, কারণ সেটাই কংগ্রেসের পুরনো ভোটব্যাঙ্ক। মুসলমান বা দলিত ভোট খানিকটা এর সঙ্গে যোগ হলে সেটা হবে বাড়তি পাওনা।