নাগাড়ে ক্লাসে গরহাজির থাকায় স্নাতক পাঠ্যক্রমে ৪৫ জন ছাত্রকে পরীক্ষায় বসার ফর্ম না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কলেজ কর্তৃপক্ষ। তারই প্রতিবাদে কার্যত রণক্ষেত্র হল হাফলঙের এক মাত্র সরকারি কলেজ। অভিযোগ, গত কাল এক দল ছাত্র হাফলং সরকারি কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। কলা, বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগে ক্লাসঘর-সহ অন্য জায়গায় প্রচুর জিনিসপত্র ভেঙে দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে পুলিশ ডাকেন অধ্যক্ষ। খবর পেয়েই পালায় হামলাকারীরা। জেলাশাসক জুরি ফুকন ঘটনার তদন্ত করতে ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব দাসকে ওই কলেজে পাঠান। ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে কলেজের অধ্যক্ষ মিজানূর রহমান পুলিশে মামলা রুজু করেন। তদন্তকারি অফিসার নীরজ চৌধুরী জানান, গত কালের হামলায় জড়িত কয়েক জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। দ্রুত তাদের গ্রেফতার করা হবে। এ নিয়ে অধ্যক্ষ জানান, স্নাতকস্তরের যে সব ছাত্র কলেজে ভাঙচুর চালিয়েছে, তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ভর্তির পর থেকে আজ পর্যন্ত ক্লাস করেনি। ওই ৪৫ জন ছাত্রকে কলেজে দেখাই যেত না। কলেজ কর্তৃপক্ষ নিয়ম মেনেই তাদের ফর্ম পূরণ করতে দেয়নি।