Lalit Modi

ললিত মোদীর পাসপোর্ট বাতিল প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্রে! নাগরিকত্ব পান কিছু দিন আগেই

আইপিএলের শীর্ষপদে থাকাকালীন বিপুল অঙ্কের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে ললিতের বিরুদ্ধে। ২০১০ সাল থেকে তিনি ভারতের বাইরে। সম্প্রতি প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পেয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০২৫ ০৮:৫৫
Share:

আইপিএলের প্রতিষ্ঠাতা ললিত মোদী ২০১০ সাল থেকে ভারতের বাইরে। —ফাইল চিত্র।

আইপিএলের জনক ললিত মোদীর পাসপোর্ট বাতিল করে দিল দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র ভানাটু। সেখানকার প্রধানমন্ত্রী জোথাম নাপাট ললিতের পাসপোর্ট বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন। কিছু দিন আগেই ভানাটুর নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন ললিত। তার পর তিনি ভারতীয় পাসপোর্ট ফিরিয়ে দিতে চেয়ে লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসে আবেদন করেন। তার মাঝেই ভানাটু তাঁর পাসপোর্ট বাতিল করল।

Advertisement

ভানাটুর প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, কোনও দেশে প্রত্যর্পণের হাত থেকে বাঁচতে কেউ তাঁদের দেশের নাগরিকত্ব চাইলে, তা বৈধ কারণ হিসাবে বিবেচিত হবে না।

আইপিএলের শীর্ষপদে থাকাকালীন বিপুল অঙ্কের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে ললিতের বিরুদ্ধে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রচুর টাকাও তিনি নয়ছয় করেছেন বলে অভিযোগ। ২০১০ সালে ললিত ভারত ছাড়েন। তার পর থেকে লন্ডনেই আছেন। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করছে। তবে ললিতকে দেশে ফেরানো যায়নি। পশ্চিমবঙ্গের কয়লা পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত প্রাক্তন যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্রও পলাতক। তিনি ভানাটুর নাগরিকত্ব নিয়েছেন। সম্প্রতি ললিতও তা পান। সূত্রের খবর, ভানাটুতে তাঁর পাসপোর্ট বাতিলের নেপথ্যে নিউ জ়িল্যান্ড-সহ একাধিক দ্বীপরাষ্ট্রের হাত রয়েছে। ললিতের পাসপোর্ট বাতিল করানোর জন্য উদ্যোগী হয়েছিলেন নিউ জ়িল্যান্ডে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত নীতা ভূষণ।

Advertisement

গত ৭ মার্চ ভারতীয় পাসপোর্ট ফেরত দেওয়ার আবেদন লন্ডনের দূতাবাসে জানান ললিত। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকও সেই খবর নিশ্চিত করেছিল। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘ললিত মোদী পাসপোর্ট জমা দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। আবেদনটি খতিয়ে দেখা হবে। উনি ভানাটুর নাগরিকত্ব পেয়েছেন। আমাদের সে দিকটিও দেখতে হবে। আইন অনুযায়ী ওঁর বিরুদ্ধে যা করা সম্ভব, আমরা করছি।’’ গত এক দশকের বেশি সময়ের চেষ্টাতেও বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ললিতের নাগাল পায়নি। বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদীর সরকারের আমলে ললিতের বিরুদ্ধে তদন্ত থমকে রয়েছে। তৎপরতা নেই তাঁর প্রত্যর্পণের ব্যাপারেও। ভানাটুর পাসপোর্ট বাতিলের পর ললিতের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন জল্পনা তৈরি হল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement