ফের জেল হল লালুপ্রসাদের। ফাইল চিত্র।
পিছিয়ে গেল পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের সাজা ঘোষণা। প্রথমে ঠিক ছিল, বুধবার সকালেই সাজা ঘোষণা করা হবে আরজেডি সুপ্রিমোর। কিন্তু পরে বিচারক জানান, আজ সাজা ঘোষণা হচ্ছে না। পরিবর্তে বৃহস্পতিবার দুপুর দু’টোয় হবে সাজা ঘোষণা।
এ দিন সকাল থেকেই রাঁচীর আদালত চত্বরে ছিল চোখে পড়ার মতো ভিড়। সাজার মেয়াদ শুনতে সকাল থেকেই দলে দলে আসতে থাকেন আরজেডি কর্মীরা। সকাল ১০টা ৫৫ নাগাদ কড়া নিরাপত্তায় আরজেডি সুপ্রিমোকে আদালতে নিয়ে আসা হয়।
তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে আরজেডি যে হাইকোর্টে যাবে, তা আগেই জানিয়েছিলেন দলের অন্যতম নেতা রঘুবংশ প্রসাদ সিংহ।
আরও পড়ুন: বাবার পর জেলে কে? খোঁচা বিজেপির, লালুর ভরসা ‘সত্যে’
এজলাসে ঢুকেই বিচারক শিবপাল সিংহ জানিয়ে দেন, আজ সাজা ঘোষণা হচ্ছে না। আদালতের দুই কর্মীর মৃত্যুতে এ দিন দুপুর থেকেই ছুটি থাকায় এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।
লালুপ্রসাদের সাজা ঘোষণা না হলেও এ দিন আরজেডি নেতা শীবেন্দ্র তেওয়ারি, মণীশ তিওয়ারি, রঘুবংশ প্রসাদ সিংহ এবং লালু-পুত্র তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিস জারি করেছে আদালত। ২৩ জানুয়ারি তাঁদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়্ছেে।
১৯৯১ থেকে ১৯৯৪ সালের মধ্যে দেওঘর ট্রেজারি থেকে বিপুল অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগেই দায়ের হয় এই মামলা। তখন অবিভক্ত বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন লালুপ্রসাদ। এই মামলায় মোট অভিযুক্ত ৩৪ জন। তার মধ্যে ১১ জন ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন। সেই সময় ক্ষমতায় না থাকায় আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্রকে আগেই বেকসুর খালাস করে দিয়েছেন বিচারক। মুক্তি পেয়েছেন আরও পাঁচ অভিযুক্ত। দোষীদের তালিকায় রয়েছেন লালু-সহ ১৭ জন। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য তিন অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার বেক জুলিয়াস, ফুলচাঁদ সিংহ এবং মহেশপ্রসাদ। রয়েছেন এক বাঙালি অফিসার, সুবীর ভট্টাচার্যও।