নৈনিতালের অনুষ্ঠানে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। ছবি: পিআইবি।
নৈনিতালের কুমায়ুন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়লেন দেশের উপরাষ্ট্রপতি, বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে ভাষণের শেষে পুরনো এক বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় তাঁর। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দু’জনে কথা বলতে বলতে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন। সেই সময়েই আচমকা ধনখড় জ্ঞান হারান। বন্ধুর কাঁধে মাথা রেখেই অজ্ঞান হয়ে যান তিনি। তবে আপাতত তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। কুমায়ুন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁকে নৈনিতালের রাজভবনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই রাত্রিবাস করবেন।
বুধবার কুমায়ুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন ধনখড়। সেখানে ছাত্রছাত্রী এবং দর্শকদের সামনে ভাষণ দেন। তার পর মঞ্চ থেকে নেমে দাঁড়ান। দর্শকাসনে ছিলেন নৈনিতালের প্রাক্তন সাংসদ তথা কংগ্রেস নেতা মহেন্দ্র সিংহ পাল। ধনখড় যে সময়ে রাজস্থানের ঝুনঝুনুর সাংসদ ছিলেন, সেই সময়ে মহেন্দ্রও নৈনিতালের সাংসদ পদে ছিলেন। ফলে সংসদে দু’জনের বন্ধুত্ব হয়েছিল। অনেক বছর পরে কুমায়ুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে আবার দুই বন্ধুর দেখা হল। সেই কারণেই তাঁরা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন।
মঞ্চের বাইরে পাঁচ থেকে সাত মিনিট দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই কথা বলেন ধনখড় এবং মহেন্দ্র। একসময়ে তাঁরা একে অপরের গলা জড়িয়ে ধরেন। সেই সময়ে বন্ধুর কাঁধে মাথা রেখেই ধনখড় হেলে পড়েন বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গে যে চিকিৎসকদল (মেডিক্যাল টিম) ছিল, তারা তৎপর হয়ে ওঠে। ধনখড়ের চোখেমুখে জল ছিটিয়ে দেওয়া হয়। কিছু ক্ষণ পরে তাঁর জ্ঞান ফেরে। কুমায়ুন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁকে রাজভবনে নিয়ে যাওয়া হয়।
তিন দিনের জন্য নৈনিতাল সফরে গিয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি। বুধবারই ছিল তার প্রথম দিন। আপাতত স্থিতিশীল হলেও তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছেন চিকিৎসকেরা। কী কারণে তিনি আচমকা জ্ঞান হারিয়েছিলেন, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। ৭৪ বছর বয়সি ধনখড় ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ছিলেন। তার আগে ১৯৮৯ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ঝুনঝুনুর সাংসদের পদ সামলেছেন তিনি। এ ছাড়া ধনখড় একসময়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ছিলেন। নৈনিতালের মহেন্দ্রের সঙ্গে এই পেশাগত কারণেও তাঁর ঘনিষ্ঠতা ছিল।