ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে ভিজিল্যান্সের আধিকারিকেরা। ছবি: সংগৃহীত।
আবার ওড়িশা। ভুবনেশ্বরের পর এ বার ব্রহ্মপুর। আরও এক ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে হানা দিলেন ভিজিল্যান্স দফতরের আধিকারিকেরা। বৃহস্পতিবার ভুবনেশ্বরের এক ইঞ্জিনিয়ারের ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে নগদ ২ কোটি টাকা উদ্ধার করেছিল ভিজিল্যান্স। তদন্তকারী সংস্থার হাত থেকে বাঁচতে ফ্ল্যাটের জানলা দিয়ে টাকার বান্ডিল নীচে ফেলেছিলেন। যে ঘটনা গোটা ওড়িশায় শোরগোল ফেলে দিয়েছে।
সেই টাকা উদ্ধারের ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আরও এক ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে আয়-বহির্ভূত সম্পত্তির মামলায় শনিবার তল্লাশি অভিযান চালায় ভিজিল্যান্স। অভিযুক্ত ইঞ্জিনিয়ারের নাম দিলীপকুমার চৌধরি। তিনি ব্রহ্মপুরের রোড অ্যান্ড বিল্ডিং ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট এগ্জ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার। সূত্রের খবর, ইঞ্জিনিয়ারের ব্রহ্মপুরের বাড়ি-সহ মোট চার ঠিকানায় তল্লাশি অভিযান চলছে।
চারটি দলে ভাগ হয়ে চার জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন ভিজিল্যান্স আধিকারিকেরা। একটি দল গিয়েছে ধর্মনগরে। দ্বিতীয় দলটি গিয়েছে ময়ূরীবিহারে, তৃতীয় দলটি ব্রহ্মপুরে ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে। আর ভুবনেশ্বরের শহিদনগরে তল্লাশি চালাচ্ছে চতুর্থ দলটি। ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ি থেকে নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে কি না এখনও সে বিষয়ে কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তবে সূত্রের খবর, ইঞ্জিনিয়ারের সম্পত্তির হদিস পেতে নথিপত্র সংগ্রহ করছেন তদন্তকারীরা।
বৃহস্পতিবার ভুবনেশ্বরে বৈকুণ্ঠনাথ ষড়ঙ্গী নামে এক ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ি থেকে নগদ টাকা উদ্ধার হয়। তার পর আরও এক ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে ভিজিল্যান্স হানায় হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে।