উপহার: গুজরাতে মুখ্যমন্ত্রী ফের বিজয় রূপাণীই। বিজেপির তরফে এই ঘোষণার পরে তাঁকে অভিনন্দন জানালেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেন পটেল। শুক্রবার গাঁধীনগরের দলীয় দফতরে। ছবি: পিটিআই।
রাহুল গাঁধী আটকে দিয়েছেন ৯৯-তে। এখন ১ জন নির্দলের সমর্থন নিয়ে সেঞ্চুরির ‘সান্ত্বনা পুরস্কার’ জোটাল বিজেপি। আর ১ জন নির্দলও সমর্থন দিতে পারেন। কিন্তু গুজরাতে বিজয় রূপাণীকে ফের মুখ্যমন্ত্রী, নিতিন পটেলকে উপমুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেও কাঁটা দূর হল না। আর হিমাচলে দলের কোন্দলের জেরে মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণাই করতে পারল না নরেন্দ্র মোদীর দল।
মুখ্যমন্ত্রীর নাম চূড়ান্ত করতে আজ আমদাবাদে পৌঁছন অরুণ জেটলি। বিধায়ক দলের বৈঠকের পরে ঘোষণা করেন, আগের মতোই মুখ্যমন্ত্রী রূপাণী ও নিতিন পটেল উপমুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। কিন্তু যে ভাবে গুজরাতের গ্রামে বিজেপি ধরাশায়ী হয়েছে, পাতিদারদের তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে দলকে, তাতে অনেকেই মুখ্যমন্ত্রী বদলের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। প্রস্তাব ছিল দু’জনকে উপমুখ্যমন্ত্রী করারও। কিন্তু বিজেপির শীর্ষ নেতাদের আশঙ্কা, মুখ্যমন্ত্রী বদল করলে দলের দুর্বলতাকেই কবুল করে নেওয়া হবে। সে কারণে স্থিতাবস্থা বজায় রাখারই সিদ্ধান্ত নিলেন মোদী।
গুজরাতে যখন এই পরিস্থিতি, সেই সময়ে অনায়াসে জিতে আসা হিমাচলেও মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করতে পারল না বিজেপি। দিল্লি ফিরে আসতে হল দলের পর্যবেক্ষক নির্মলা সীতারামণকে। ভোটের আগেই ঘোষিত ‘মুখ্যমন্ত্রীর মুখ’ প্রেমকুমার ধুমলকে দলের লোকেরাই হারিয়েছে বলে অভিযোগ। আজ শিমলায় বিজেপির কোর কমিটির বৈঠক চলাকালীন নির্মলা ও নরেন্দ্র সিংহ তোমরের সামনেই বিক্ষোভ দেখান ধুমলের সমর্থকরা। তাঁদের অভিযোগ, জয়রাম ঠাকুরকে মুখ্যমন্ত্রী করতেই শান্তা কুমার, জগৎ প্রকাশ নড্ডার মতো নেতারা ধুমলকে হারিয়েছেন।
আজ দলের সব বিধায়ক নির্মলাদের সঙ্গে দেখা করেননি। যাননি অনুরাগ ঠাকুরও। ধুমলের সমর্থকদের হাঙ্গামা দেখে মুখ খোলেন শান্তা কুমার। বলেন, ‘‘আমি সভাপতি হলে বিক্ষোভকারীদের বের করে দিতাম। যিনি (ধুমল) হেরে গিয়েছেন, তাঁর বদলে কোনও বিধায়ককেই মুখ্যমন্ত্রী করা উচিত।’’