বিহারের একই পরিবারের পাঁচ সদস্যকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
গোটা পরিবার ডাইনি অপবাদের শিকার হল এ বার বিহারের পূর্ণিয়ায়। ওই পরিবারের পাঁচ জন প্রথমে পিটিয়ে মারা হয়, পরে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠল। উত্তপ্ত গ্রামবাসীর হাত থেকে শুধু রক্ষা পেল ওই পরিবারের এক শিশু। চোখের সামনে সে দেখল, তার পরিবারকে শেষ হতে!
স্থানীয় সূত্রে খবর, গ্রামের বাসিন্দা রামদেব ওরাওঁয়ের পুত্রের মৃত্যুর পর থেকেই ওই পরিবারের উপর আক্রোশ ঘনিয়ে ওঠে গ্রামবাসীদের। স্থানীয়দের দাবি, রামদেবের পুত্রের মৃত্যুর তিন দিন আগে ‘ঝাঁড়-ফুঁক’ করেছিল গ্রামের বাবুলাল ওরাওঁয়ের পরিবার! তার পরে গ্রামের আরও কয়েক জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। মৃত্যু এবং অসুস্থতার জন্য বাবুলালের পরিবারকেই দায়ী করে গ্রামের একাংশ। সন্দেহের বশে রবিবার বাবুলালের পরিবারের পাঁচ জনকে পিটিয়ে মারা হয়। তার পরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া দেহগুলিকে। অগ্নিদগ্ধ দেহগুলি ফেলে দেওয়া হয় গ্রামের পুকুরে। সেখান থেকেই পুলিশ দেহগুলি উদ্ধার করে। বাবুলাল ছাড়াও ওই পরিবারের চার জনের মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। গ্রামবাসীকে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে গ্রামের বাসিন্দা নকুল কুমারের নামে। খুনের ঘটনায় তাঁর যোগ থাকতে পারে, এই সন্দেহে পুলিশ নকুলকে গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। বিহার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা আরজেডি বিধায়ক তেজস্বী যাদব এই হত্যাকাণ্ডের জন্য নীতীশ কুমারের সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন।