Meghalaya

এখনও তপ্ত মেঘালয়

গত কাল রাতে বেশ কিছু এলাকায় আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০২০ ০৩:২৪
Share:

অশান্তির আগুন।

কড়া পুলিশি ব্যবস্থা, আধাসেনার টহলেও হিংসা এড়ানো যাচ্ছে না মেঘালয়ে। আগামী কাল থেকে রাজ্যে উচ্চমাধ্যমিক ও ৪ মার্চ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু। এ দিকে সোহরা, মাওলং, শিলংয়ের অনেক এলাকায় কার্ফু চলছে। বন্ধ মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা। চালু করা হয়েছে টোল ফ্রি হেল্পলাইন। গত কালই সংঘর্ষে তিন জনের মৃত্যু হয়। পুলিশ, প্রশাসন সব সংগঠনকে দ্রুত শান্তি ফেরানোর আর্জি জানিয়েছে।

Advertisement

গত কাল রাতে বেশ কিছু এলাকায় আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানাচ্ছে, রাত পৌনে তিনটে নাগাদ সেলা পুলিশ ফোন পায়, পিরকিন গ্রামে উপহাসুদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে তিন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি আক্রমণ করেছে। পুলিশ গিয়ে তাঁকে হাসপাতালে আনলেও তত ক্ষণে তাঁর মৃত্যু হয়। শিলংয়ের পাইনথোরবা এলাকায় লক্ষ্মী বারে নামে এক মহিলার বাড়িতে পেট্রল বোমা ছোড়া হয়। তবে কেউ জখম হননি। সেই রাতেই ১টা নাগাদ মৌসিনরামের কাছে রাজু করিম নামে এক ব্যক্তিকে অজ্ঞাতপরিচয় হামলাকারীরা মারধর করে। তাঁকে নেগ্রিমস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ দিকে ২৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় যে ঘটনা থেকে ঝামেলার সূত্রপাত, তার দায় অস্বীকার করেছে খাসি ছাত্র সংগঠন। স্থানীয়দের দাবি, বহিরাগতদের বাড়িতে আগুন লাগানোর পরে তারা পাল্টা আক্রমণ চালায়। কিন্তু ছাত্র সংগঠন ও গ্রামপ্রধানরা দাবি করছেন, আক্রমণ পূর্বপরিকল্পিত ছিল। এলাকার বাঙালি, কোচ ও হাজোং বাসিন্দাদের হাতে আগে থেকেই মজুত ছিল প্রচুর অস্ত্র। খাসি সংগঠনগুলির দাবি, ইনারলাইন পারমিট চালু হলে বহিরাগতদের সমস্যা হবে জেনেই তারা পাল্টা আক্রমণ চালায়।

Advertisement

পরিস্থিতির জন্য রাজ্য সরকারকে দায়ী করে বিরোধী নেতা মুকুল সাংমা বছেন, ‘‘মানুষের মধ্যে বিশ্বাস নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সিএএ সাম্প্রদায়িক বিভাজন আনছে। রাজ্য সরকার ও পুলিশের অদূরদর্শিতার জন্যই পুলিশ সময় মতো কড়া ব্যবস্থা নিতে পারেনি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন