Viral

বউকে কাছে টানতে ছোট্ট ছেলেকে রাস্তায় ফেলে এলেন বাবা

পাঁচ বছরের ছোট্ট শিশুটিকে একটি বাসস্ট্যান্ডে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে আসেন। আর ঝামেলা থেকে বাঁচতে অপহরণের নাটক ফাঁদেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

সুরত শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২০ ১৫:২৪
Share:

প্রতীকী চিত্র।

সন্তান নাকি স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের পথে বাধা হচ্ছিল! তাই তাকে রাস্তায় ফেলে এলেন এক যুবক। এমনই অবিশ্বাস্য এক ঘটনা সামনে এল। তবে শেষ পর্যন্ত ঘটনা অন্য দিকে মোড় নেয়। নিজের জালে নিজেই ফেঁসে যান ওই যুবক।

Advertisement

বছর পঁচিশের সাহেব চৌধুরি, বিহারের পশ্চিম চম্পারণ জেলায় আসল বাড়ি। বছর ছয়েক আগে বিয়ে করেন বছর তেইশের সরোজকে। বর্তমানে তাঁরা দু’জনেই গুজরাতে সুরতের একটি কাপড় কলে কাজ করেন। সাহেব-সরোজের প্রিন্স নামের একটি পাঁচ বছরের সন্তানও রয়েছে। কিন্তু সেই সন্তানই নাকি তাঁদের ‘সম্পর্কের’ পথে বাধা হচ্ছিল।

সাহেব-সরোজ সুরতের সচিন জিআইডিসি এলাকায় একটি ছোট্ট ভাড়া বাড়িতে থাকেন। এই দীর্ঘ লকডাউনের সময় সাহেবের নাকি স্ত্রীকে ‘কাছে পেতে’ সমস্যা হচ্ছিল। তাই তিনি পাঁচ বছরের ছোট্ট শিশুটিকে একটি বাসস্ট্যান্ডে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে আসেন। আর ঝামেলা থেকে বাঁচতে অপহরণের নাটক ফাঁদেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: লাইভ স্ট্রিমিংয়ের সময় গায়ে আগুন লাগিয়ে দিল প্রাক্তন স্বামী, মৃত ভ্লগার

আরও পড়ুন: সম্পূর্ণ ব্যাটারি চালিত বিমানের সফল গ্রাউন্ড টেস্ট করল রোলস রয়েস

তদন্তে নামে পুলিশ। সাহেবের সঙ্গে কথা বলেন। সাহেবেরই এক প্রতিবেশীর কাছ থেকে কিছু তথ্য পান তদন্তকারীরা। যা থেকে তাঁদের সন্দেহ হয়। বুঝতে পারেন, সাহেব যে ভাবে বিষয়টি দেখানোর চেষ্টা করছেন ঘটনা আসলে তা নয়। এবার ঘটনার নানান দিক খতিয়ে দেখে পুলিশ তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যায়। শেষে প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর শিশুটিকে উদ্ধার করে ফেলেন তদন্তকারীরা। আর সেই তাঁরা সঙ্গে এটাও বুঝে যান, শিশুটিকে অপহরণ করা হয়নি, তাকে ফেলে আসা হয়েছিল বাসস্ট্যান্ডে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, শিশুটি যে ‘হারিয়ে গিয়েছে’, প্রথমে তার মাকেও তা জানাননি সাহেব। এবার সাহেবের বিরুদ্ধেই পুলিশ মামলা রুজু করছে। ফলে নিজের জালে তিনি নিজেই জড়িয়ে গিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন