Viral

হাফ প্যান্ট পরে গণেশ দেখা যাবে না, পুজো উদ্যোক্তাদের উপর খাপ্পা সাধারণ মানুষ

মুম্বইয়ের অন্ধেরিচা রাজা গণপতি মণ্ডল তাদের প্যান্ডেলে দর্শনার্থীদের জন্য একটি বোর্ড ঝুলিয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে, হাফ প্যান্ট বা মিনি স্কার্ট পরে প্যান্ডেলে ঢোকা যাবে না। এই বোর্ড নজরে পড়তেই তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে মানুষের মধ্যে। তাদের বক্তব্য, উত্সবের মাঝে আবার ড্রেস কোড কিসের!

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০১৯ ১৯:০৮
Share:

প্রতীকী চিত্র।

বাণিজ্যনগরী মুম্বই বছরের এই সময়টা সব থেকে বেশি প্রাণবন্ত। কারণ সামনেই গণেশ পুজো। গোটা মুম্বই সেজে উঠেছে। ধনকুবের থেকে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ, রাজনৈতিক নেতা থেকে সেলিব্রিটি— সবাই বছরের এই ক’টা দিনের দিকে তাকিয়ে থাকেন। কয়েক কোটি মানুষ দল বেঁধে মানুষ গণপতি দর্শনে বের হন। সারারাত চলে ঠাকুর দেখা। কিন্তু সেই আনন্দের আবহের মধ্যেই কিশোর কিশোরী থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দানা বাঁধছে। কারণ এক পুজো প্যান্ডেলের বাইরে বোর্ড লাগানো হয়েছে। সেখানে ড্রেস কোডের কথা বলা হয়েছে।

Advertisement

মুম্বইয়ের অন্ধেরিচা রাজা গণপতি মণ্ডল তাদের প্যান্ডেলে দর্শনার্থীদের জন্য একটি বোর্ড ঝুলিয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে, হাফ প্যান্ট বা মিনি স্কার্ট পরে প্যান্ডেলে ঢোকা যাবে না। এই বোর্ড নজরে পড়তেই তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে মানুষের মধ্যে। তাদের বক্তব্য, উত্সবের মাঝে আবার ড্রেস কোড কিসের! আর কোনও পোশাককে এভাবে কালো তালিকায় ফেলার অধিকার পুজো উদ্যোক্তাদের কে দিয়েছে? এ প্রশ্নও তুলছেন তারা।

২০১২ সালে একই রকম বোর্ড ঝুলিয়েছিলঅন্ধেরির আজাদ নগর সর্বজনিন উত্সব সমিতি।সেক্ষেত্রে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল, কারও কোনও পোশাক যাতে পূণ্যার্থীদের মনে আঘাত না দেয় তাই এই ব্যবস্থা। তা নিয়েও ক্ষোভ দেখা দিয়েছিল। তারপর ফের এই বছর ড্রেস কোড চালুর চেষ্টা, উত্সবের রং কিছুটা ফিকে করে দিচ্ছে।

Advertisement

আরও পড়ুন : এভাবে সাপের জন্ম দেখেছেন, পর্দা ছিঁড়ে বেরিয়ে আসছে বিষধর!

আরও পড়ুন : দুপুরের খাবার দেরিতে দেওয়ায় স্ত্রীকে তিন তালাক!

শুধু মুম্বইয়েই নয় এমন উদাহরণ অন্ধ্রপ্রদেশেও দেখা গিয়েছিল। চলতি বছরের গোড়ার দিকেশ্রী বীরা ভেঙ্কট সত্যনারায়ণ স্বামী দেবস্থানে ড্রেস কোড চালু করা হয়। সেখানে জানানো হয়, পূর্ণার্থীরা যেন ধুতি অথবা শাড়ি পরে আসেন। না হলে অন্তত চুড়িদার সঙ্গে ওড়না থাকে। এই উদারহণ মহারাষ্ট্রের মহাবালেশ্বরেও দেখা গিয়েছে গত বছর অক্টোবরে। কেরলের মহাবিষ্ণু মন্দিরেও ড্রেস কোড রয়েছে।

মন্দিরে ড্রেস কোড আর উত্সবের মাঝে এই পোশাক বিধির মধ্যে তফাৎ রয়েছে বলে মত প্রকাশ করেছেন অনেকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন