Gyanvapi Mosque

Gyanvapi Masjid: জ্ঞানবাপী মসজিদের অন্দরে শুরু সমীক্ষা এবং ভিডিয়ো তোলার কাজ, চলবে রবিবারও

হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, মুঘল সম্রাট অওরঙ্গজেব দু’হাজার বছরের পুরনো কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের একাংশ ধ্বংস করে সেখানে গড়েন জ্ঞানবাপী মসজিদ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বারাণসী শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০২২ ১৫:২২
Share:

বারাণসীর সেই বিতর্কিত এলাকা। ফাইল চিত্র।

কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদে প্রথম দিনের সমীক্ষা এবং ভিডিয়োগ্রাফির কাজ শেষ হল। বারাণসী আদালত নিযুক্ত অ্যাডভোকেট কমিশনার অজয়কুমার মিশ্র-সহ তিন পর্যবেক্ষকের পাশাপাশি ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (আর্কিওলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া বা এএসআই)-এর বিশেষজ্ঞ, মামলাকারী দুই গোষ্ঠীর সদস্য এবং পুলিশ-প্রশাসনের প্রতিনিধিদের নিয়ে ৩৬ জনের দল শনিবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর পর্যন্ত মসজিদের অন্দরের কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করে।

আদালতের নির্দেশে বাইরের কাউকেই সমীক্ষা এবং ভিডিয়োগ্রাফির সময় মসজিদ চত্বরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আদালতের নির্দেশে মসজিদের অন্দরের বিতর্কিত ‘পশ্চিমের দেওয়াল’ এবং ভূগর্ভস্থ ঘর (তহ্‌খানা)-সহ সমস্ত অংশ পরিদর্শন, সমীক্ষা এবং ভিডিয়োগ্রাফি করে আগামী ১৭ মের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে হবে বিশেষজ্ঞ দলকে। বারাণসীর পুলিশ কমিশনার সতীশ গণেশ বলেছেন, ‘‘রবিবারও সকাল থেকে কাজ চলবে।’’

Advertisement

প্রসঙ্গত, গত বছর বারাণসী আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, মন্দির এবং মসজিদ চত্বরে প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষা এবং ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে। ‘স্বয়ম্ভু জ্যোতির্লিঙ্গ ভগবান বিশ্বেশ্বর’-এর তরফে দায়ের করা মামালার জেরে আদালতের সেই নির্দেশ মেনে সম্প্রতি জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে সমীক্ষাও হয়। কিন্তু মসজিদের অন্দরের ‘পশ্চিমের দেওয়াল’ এবং ‘তহ্‌খানা’ও পুরাতত্ত্ববিদের সমীক্ষার আওতায় পড়বে কি না, রায়ে তার স্পষ্ট উল্লেখ ছিল না বলে মসজিদ কমিটির দাবি। বৃহস্পতিবার সে বিষয়ে স্পষ্ট রায় দিয়েছে আদালত।

হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, জ্ঞানবাপী মসজিদ যে জমিতে গড়ে উঠেছে, তা আদতে হিন্দুদের। সুতরাং সেই জমি হিন্দুদের ফিরিয়ে দেওয়া হোক। মুঘল সম্রাট অওরঙ্গজেব দু’হাজার বছরের পুরনো কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের একাংশ ধ্বংস করে সেখানে মসজিদ গড়ে তোলেন দাবি তুলে সেখানে ‘হিন্দুত্বের ছাপ’ খুঁজতে প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষার দাবি জানানো হয় আদালতে। অন্য দিকে, জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে ‘দেবদেবীর মূর্তি’ আছে দাবি করে সেগুলি পুজো করার অনুমতি চেয়ে ২০২১-এ আদালতে একটি পৃথক আবেদন আবেদন করেন পাঁচ মহিলা।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন