(বাঁ দিকে) ভ্লাদিমির পুতিন এবং নরেন্দ্র মোদী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
দু’দিনের সফরে বৃহস্পতিবার ভারতে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা শোনা গেল তাঁর গলায়। ‘ইন্ডিয়া টুডে’-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে পুতিন জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী চাপের কাছে নতিস্বীকার করেন না। মার্কিন শুল্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল রুশ প্রেসিডেন্টকে। সেই প্রশ্নের প্রেক্ষিতে পুতিন বলেন, “চাপের সামনে নতিস্বীকার করার পাত্র নন প্রধানমন্ত্রী মোদী।”
ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ‘বন্ধু’ বলে অভিহিত করে পুতিন জানিয়েছেন, ভারত সফরের জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। এই সফরে ভারত এবং রাশিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা নিয়ে বহু আলোচনা হবে বলেও জানান তিনি। ‘ইন্ডিয়া টুডে’-কে তিনি বলেন, “মহাকাশ গবেষণা, পরমাণুশক্তি, জাহাজ নির্মাণ, বিমান নির্মাণ-সহ একাধিক ক্ষেত্রে ভবিষ্যতের স্বার্থে ভারত এবং রাশিয়া একসঙ্গে কাজ করছে।” তিনি এও জানান, ভারত এবং রাশিয়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-র ব্যবহার নিয়েও আলোচনা করবে।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বের প্রশংসা করে পুতিন বলেন, “ভারত দারুণ দেশ। সে দেশের অর্থনীতি ৭.৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বের একটি সাফল্য। সব সময় কিছু সমালোচক থাকেন, যাঁরা বলেন, আরও ভাল হতে পারত। কিন্তু ফলাফলই তাঁদের সবটা বলে দেয়।” গত সেপ্টেম্বরে চিনে এসসিও সম্মেলনে মোদীকে নিজের গাড়িতে চাপিয়েছিলেন পুতিন। এই প্রসঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে গাড়িতে ঘোরার পরিকল্পনা আমারই ছিল। এটা আমাদের বন্ধুত্বের স্মারক।” পুতিন জানান, ওই গাড়ি-সফরে তাঁরা এসসিও সম্মেলনের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা সেরে নেন। রুশ প্রেসিডেন্টের কথায়, “এটা (একসঙ্গে গাড়িতে ওঠা) পূর্বপরিকল্পিত ছিল না। আমরা বাইরে বেরিয়েছিলাম। সেখানে আমার গাড়িটা ছিল। আমিই প্রস্তাব দিলাম যে, চলুন আমরা একসঙ্গে গাড়িতে উঠি। ওটা দেখনদারির জন্য ছিল না। বন্ধু হিসাবেই আমরা গাড়িতে উঠেছিলাম।’’
মোদীর আমন্ত্রণে ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারত সফরে আসছেন পুতিন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে অবতরণ করবেন তিনি। সে জন্য আগেভাগেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। রুশ প্রেসিডেন্টের ভারত সফরের আগে পাঁচস্তরীয় নিরাপত্তাবলয় প্রস্তুত করা হয়েছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, রাশিয়া থেকে জনাপঞ্চাশ শীর্ষ নিরাপত্তাকর্মী আগেই দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন। পুতিনের কনভয় যে সব পথ ধরে যাওয়ার কথা, সেগুলিতে দিল্লি পুলিশ এবং এনএসজি-র কর্তাদের সঙ্গে এক বার টহল দিয়ে ফেলেছেন তাঁরা।