(বাঁ দিক থেকে) নরেন্দ্র মোদী, ভলোদিমির জ়েলেনস্কি এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প। — ফাইল চিত্র।
ভারতের উপর আমেরিকার অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। ভারত কিংবা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম করেননি তিনি। তবে তাঁর ইঙ্গিত যে নয়াদিল্লির দিকেই, তা তাঁর মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
রবিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘এবিসি নিউজ়’-কে একটি সাক্ষাৎকার দেন জ়েলেনস্কি। সেখানেই তাঁকে চিনের তিয়ানজিন শহরে মোদী এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। সঞ্চালক ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, “মোদী পুতিন এবং শি জিনপিঙের বৈঠকের পর ট্রাম্প বলেছিলেন ভারত আর রাশিয়াকে চিনের অন্ধকারে হারিয়ে ফেললাম। মোদীকে সেখানে দেখে আপনার কি মনে হয় ট্রাম্পের (শুল্ক চাপানোর) সিদ্ধান্ত ব্যর্থ হল?” জবাবে জ়েলেনস্কি বলেন, “আমি মনে করি যে সমস্ত দেশ রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা করে চলেছে, সেই সমস্ত দেশের উপর শুল্ক আরোপ সঠিক সিদ্ধান্ত।”
এই মন্তব্য করে ট্রাম্পের ভারতীয় পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্তকে জ়েলেনস্কি সমর্থন করলেন বলেই মনে করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে এই প্রথম রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ভারতের উদ্দেশে তোপ দাগলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
রাশিয়া থেকে তেল আমদানি অব্যাহত রাখার জন্য ভারতের অধিকাংশ পণ্যের উপর আরও ২৫ শতাংশ (মোট ৫০ শতাংশ) শুল্ক চাপিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। হোয়াইট হাউস বিষয়টিকে নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে ‘শাস্তিমূলক’ পদক্ষেপ হিসাবেই দেখছে। হোয়াইট হাউসের কর্তাদের বক্তব্য, ভারতের মতো দেশগুলিকে অশোধিত তেল বিক্রি করে মস্কো যে মুনাফা করছে, সেই টাকা তারা ব্যয় করছে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে। আমেরিকার সিদ্ধান্তকে ‘অযৌক্তিক’ বলে দাবি করে রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে ভারতও। এই আবহে গত সোমবার এসসিও সম্মেলনের ফাঁকে মোদী-পুতিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন। একই গাড়িতে সওয়ার হতে দেখা যায় তাঁদের। একাধিক ছবিতে ধরা পড়ে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধুর রসায়নের বিষয়টি। এই আবহে ট্রাম্পের শুল্ক-সিদ্ধান্তকে জ়েলেনস্কির সমর্থন করার বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও নয়াদিল্লি কিংবা ওয়াশিংটনের তরফে এখনও এই বিষয়ে মুখ খোলা হয়নি।